তহিদুল ইসলাম রাসেল,চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধানঃ-
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড। রোগীদের জন্য বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ওষুধ মজুদ থাকার পরও এসব ওষুধ বিতরণ না করে বিক্রির জন্য জমা করে রেখেছেন সেখানকার কর্মচারী ও কর্মকর্তারা। ওষুধ সংরক্ষণ করা সেই স্টোরের কাগজপত্রের সঙ্গে ওষুধ বিতরণ হিসেবে দেখানো হিসাবের কোনো মিল নেই। হাতে পুশ করা স্যালাইনসহ নামমাত্র কিছু ওষুধই শুধু দেখা গেল সেখানে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক মো. নাজমুছ ছায়াদাতের নেতৃত্বে পরিচালিত দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে গিয়ে এমন সব অনিয়ম হাতেনাতে ধরেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দুদকের উপপরিচালক আবু সাঈদ (সংযুক্ত) এব সহকারী পরিচালক এনামুল হক।
দুদক জানায়, দুদক হটলাইন ১০৬ নম্বরে সরকারি ওষুধ বিতরণের অনিয়মের খবর পেয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ঝটিকা এই অভিযান চালায় দুদক। অভিযানে চমেক মেডিকেলের আউটডোরে অবস্থিত বেশ কয়েকটি ফার্মেসির ওষুধ বিতরণ এবং চালান ও রশিদের সমস্ত কাগজপত্র ঠিকঠাকমতো রয়েছে কিনা দেখেন দুদক কর্মকর্তারা। তারা হাসপাতালের কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের বিভিন্ন কাগজপত্রও পরীক্ষা করে দেখেন। ওষুধাগারের কাগজের সঙ্গে আউটডোরের সংরক্ষণ ও বিতরণের কাগজপত্রও মিলিয়ে দেখে দুদকের দলটি।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, ওষুধ মজুদ করার স্টোরের কাগজপত্রগুলো অরিজিনালের সঙ্গে কার্বন কপির মিল নেই। হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, ওষুধ মজুদ রয়েছে কিন্তু রোগীদের সরবরাহ করা হচ্ছে না। ওষুধ থাকার পরও বাইরে থেকে কিনে আনতে বলছেন হাসপাতাল কর্মীরা। এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাসপাতালের পরিচালককে জানানো হবে বলে দুদক কর্মকর্তারা জানান।
Leave a Reply