পীরজাদা মোঃ মাসুদ হোসাইন,রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)প্রতিনিধি:-

“গুজব হুজুগ সন্ত্রাস নয়, উন্নয়ন হোক দেশময়” এ স্লোগানকে সামনে রেখে, লক্ষ্মীপুরে গুজব হুজুগ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৪ মার্চ) সকাল ১১ টায় লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসিন লিকা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন মাষ্টার ও জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মোঃ শাহজাহান কামাল।

এ সেমিনারের আয়োজন করেন ইসলামি সংস্কার মূলক আন্দোলন “হেযবুত তওহীদ”।

লক্ষ্মীপুর জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মোঃ জামাল হোসেন সোহাগের সভাপতিত্ব এতে আরো বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিভাগ হেযবুত তওহীদের সহকারী আমির এডভোকেট রাজু আহম্মেদ, সংগঠনটির বিভাগীয় আমির মোঃ জিল্লুর রহমান মানিকসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক ওয়াহেদ মুরাদ, রবিউল ইসলাম, অ আ আবির আকাশ, নুর আহম্মেদ মিলন, রুবেল হোসেন, আমজাদ হোসেন, পীরজাদা মোঃ মাসুদ হোসাইন, মামুন ভূইয়া, হৃদয় হোসেন, মোঃ সোহেল প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে এক শ্রেণীর ধর্মান্ধ মানুষ আছে গুজব রটিয়ে সাধারণ মানুষের জান-মালের ক্ষতি করে। তারা ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে হুজুগ ও গুজব রটিয়ে মিথ্যাচার ও অপ্রচার চালায়। যেটা কখনো ইসলাম সমর্থক করে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর পোরকরা গ্রামে একটি মসজিদকে গীর্জা আখ্যা দিয়ে ধর্ম-ব্যবসায়ী উগ্রবাদী গোষ্ঠী, ভয়াবহ পৈশাচিক হামলা চালিয়ে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে হত্যার পর তাদের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। উপড়ে ফেলা হয় তাদের চোখ। পেট্রোল ঢেলে দেহ পুড়িয়ে দেয়। আরো ১১৪ জন সদস্যকেও নির্মমভাবে হত্যা করতে উদ্যত হয়। পুলিশ গিয়ে সেইদিন এ ১১৪ জন সদস্যকে প্রাণে রক্ষা করে। বর্তমানে এ ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান।

গির্জা বলে যেই মসজিদটি গুজব রটিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছিল। বর্তমানে সেই মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদটির নাম দেওয়া হয়েছেন ‘শহীদী জামে মসজিদ’। ৪ তলা বিশিষ্ট সেই মসজিদে বর্তমানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমার নামাজ ঈদের নামাজ আদায় হয়।