লিয়াকত মাসুদ,কসবা প্রতিনিধি;-
সংবাদপত্রকে বলা হয় ‘রাষ্ট্রের চতৃর্থ স্তম্ভ’। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। থানা, পুলিশ, কোর্ট-কা চারী, নেতা-নেত্রী করে মানুষ যখন বিচার না পেয়ে অসহায় আর দিশেহারা হয়ে পড়েন। ন্যায় বিচার এমনকি মৌলিক চাহিদা সু-চিকিৎসাটুকুও পান না, ঠিক তখনই অসহায় মানুষগুলো প্রতিকার পাওয়ার আশায় সর্বশেষস্থল হিসেবে ছুটে আসেন সাংবাদিকদের কাছে। শেষ ভরসাস্থল হিসেবেই জেনে-মেনে ও বিশ্বাস করেই তারা ধর্না দেয় সংবাদপত্রের কাছে।
একজন সম্পাদকের মর্যাদা সরকারের উপ-সচিবের মর্যাদার সমান।
সেখানে একজন সাংবাদিকের মর্যাদাও কম নয়। যারা প্রকৃতপক্ষে পেশাগত দায়িত্ব নিয়ে সাংবাদিকতা করেন তাঁরা সমাজের নিপিড়ীত অসহায় মানুষের কাছে পরম শ্রদ্ধার পাত্র। আর দুর্নীতিবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, চরমপন্থী-সন্ত্রাসী, জঙ্গি এবং অসামাজিক মানুষের কাছে আতংক। কিন্তু সাংবাদিকদের সেই মর্যাদা কসবায় আজ আর নেই । তেলবাজ, তোলাবাজ,চাঁদাবাজ নামধারী, কার্ডধারী সাংবাদিকদের কারণেই অসম্মানিত হচ্ছে পেশাদার ও প্রকৃত বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’।
এ কারণে দুর্নীতিবাজরা সাংবাদিকদের সমীহ কিংবা সম্মান ভয় না করে এখন তারা “সাংঘাতিক” বলে গালিও দেয়। কসবায় কথিত সাংবাদিক তেলবাজ সাংবাদিকদের কারনেই প্রকৃত সাংবাদিকদের মর্যাদাহানী হচ্ছে তাতে কোন সন্দেহই নেই। পাশের উপজেলা আখাউড়া, নবীনঘর কথা যদি বলি সেখানকার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের যমের মত ভয় করে। সেখানেও সাংবাদিকদের বিভিন্ন গ্রুপ আছে কিন্তু এখানকার মতো কথিত তেলবাজ সাংবাদিক সেখানে নেই। মাঠে খাটা সাংবাদিকরা সেখানে জনগণের কল্যাণে শক্তহাতে কলম চালায়। আর কসবায় চিত্রটি একেবারেই ভিন্ন। এখানে তেলবাজ সাংবাদিকরা দুর্নীতিবাজদের জানায় ফুলের শুভেচ্ছা!?
তারা জানে তেলবাজি করলে নিজের আখের গোছানো সহজ হয়। জনগণের জন্য সাংবাদিকতা নয়, আত্মসেবার জন্য সাংবাদিকতার রেওয়াজ চলে আসছে এখানে দীর্ঘদিন ধরেই। এসব তেলবাজ কথিত সাংবাদিকদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে৷ নয়ত সাংবাদিকদের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাবে আর পেশাদার সাংবাদিকরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়বেন৷
Leave a Reply