লিয়াকত মাসুদ,কসবা প্রতিনিধি;-
শীতকালীন তরমুজ চাষে চমক দেখালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ইসমাইল( ২৮) পরিশ্রম আর বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে হয়েছেন স্বাবলম্বী।৬ বিঘা জমি থেকে আয় করেছেন ৩লাখ টাকা।ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল গ্রামের ইসমাইল তাঁর নিজ বাড়িতে প্রথমে দুইটা গাছ লাগায় গাজে খুব সুন্দর ভাবে ফলন আসে তার পর চিন্তা আসে সে বাণিজ্যিকভাবে জমিতে চাষ করবেন তরমুজ।
শীতকালীন মৌসুমে তরমুজ চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন তিনি। প্রতিটি তরমুজ বেশ বড়। গড় ওজন ৭-৯কেজি। এমন তরমুজের খেত দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন হরহামেশাই। এ তরমুজ গুণে ও মানে খুবই ভালো এবং বেশ সুস্বাদু বলে জানান এলাকবাসী। তরমুজের মিষ্টি হওয়ায় বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে বলে জানান এই চাষী।
শীতকালীন তরমুজ চাষ বিষয়ে মো ইসমাইল সাখে কথা বলে জানা যায়, । সে মন স্থির করে পাকিজা কোম্পানীর তরমুজ বীজ কিনে বপন করেন, পরে আর পিছনে তাকাতে হয়নি।সর্বমোট তার খরচ হয়েছে দুইলাখ টাকা। তরমুজ বিক্রি করতে পারবে ৫লাখ টাকা আমি ভবিষ্যতে তরমুজ চাষ করব। বর্তমানে ৬বিঘা জমিতে আবারো তরমুজ চাষ করবো। এর আগে শশা চাষ করে সফলতা পেয়েছিলাম। স্থানীয় লোকজন, সাংবাদিক ও দূর দূরান্ত থেকে তরমুজ ক্ষেত দেখতে অনেক লোক আসছে
কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাজেরা বেগম বলেন, তরমুজ একটি অর্থকরী ফসল। এ ফল ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। অর্থনৈতিক ভাবে বেকার যুবক ও কৃষককে স্বাবলম্বী করে তুলতে তরমুজ চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কসবা উপজেলা তরমুজ চাষীদের ভালো ফলনে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করেছি। এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় ও ভালো দাম পাওয়ায় তরমুজ আবাদে ঝুঁকছে এখানকার অনেক কৃষক।
Leave a Reply