পঙ্কজ মিত্র,মঠবাড়িয়া(পিরোজপুর)প্রতিনিধিঃ- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া সড়ক ও জনপদ এর আওতায় পৌর শহরের ড্রেন নির্মাণে ব্যপক অনিয়ম ও নিন্ম মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ করে দিল বিক্ষুব্দ এলাকাবাসি। মঙ্গলবার বিকেলে পৌর শহরের বহেরাতলা এলকায় চলমান এ ড্রেন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়।
এদিকে কাজ শেষ হওয়ার আগেই সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বাড়তি সুবিধা নিয়ে ঠিকাদারকে চূড়ান্ত বিল পাইয়ে দিয়েছেন বলে সোমবার অভিযোগ উঠলে স্থানীয়দের মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। জানাগেছে, পিরোজপুরের চরখালী-মঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটা সড়কের মঠবাড়িয়া অংশে ১.৬৬ কিলোমিটার রিজিড (রাস্তা ঢালাই করন) পেভমেন্ট, ২.৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজ (মঠবাড়িয়া বাজার অংশ) এবং বরগুনা অংশে ০.৬২৫ কিলোমিটার রিজিড পেভমেন্ট (রাস্তা ঢালাই আরসিসি ঢালাই করন) এবং ২০.৩৭ কিলোমিটার বর্ধিত ও মজবুতিকরণ সহ কার্পেটিং কাজ (ডিবিএস বেস কোর্স কাজ) এর ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ধরে দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্রে অংশ নিয়ে হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড-ওয়েষ্টার কন্সট্রাকশন এন্ড শিপিং কোম্পানী লিমিটেড জেভি (জয়েন্ট ভেঞ্চার) ৩০ কোটি ৮৭ লাখ টাকায় কাজটি পায়। এ কাজের মধ্যে ড্রেন নির্মাণ কাজ রয়েছে ১০ কোটি ৮১ লাখ টাকার। কিন্তু এ কাজ শেষ করার আগেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে গেল বছরের ২৯ জুন চূড়ান্ত বিল দেয়া হয়েছে।
পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি প্রভাষক ফারুক হোসেন বলেন, পৌর শহরের চলমান আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজ ৬ ফুটের পরিবর্তে ৪ ফুট চওড়া (প্রস্থ) করা হচ্ছে। নির্মাণে নিন্ম মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার কারনে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসি কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। মঠবাড়িয়া উপজেলা আ‘লীগ সহ-সভাপতি আরিফ উল হক বলেন, কাজ শেষ হওয়ার আগেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত বিল দেয়া হয়েছে। তাই ড্রেন নির্মাণ নিন্ম মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছেন। তিনি দাবী করেন অনৈতিক সুবিধা ছাড়া প্রকৌশলীরা এ বিল দেননি। সড়ক বিভাগের বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী একেএম আজাদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অল্প কয়েকদিন হল বরিশালে যোগদান করেছেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে পিরোজপুর জেলা অফিসে যোগাযোগ করার কথা বলে কৌশলে এড়িয়ে যান।
Leave a Reply