মোঃ মোশাররফ হোসেন মনির
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি;-
বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলায় যাত্রীদের বসার জন্য দেওয়া যাত্রী ছাওনি দখল করে চায়ের দোকান তৈরি করা হয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে হচ্ছে এসব কর্মকান্ড।সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে এসব চায়ের দোকান গড়ে উঠেছে। বিষয়টি দেখার নেই কেউ।
শরণখোলা–মোরেলগঞ্জ এর আঞ্চলিক মহাসড়কের কোথাও নেই কোনো বাস টার্মিনাল। উপজেলার চেয়ারম্যান ব্রিজ, পহলানবাড়ি, আমড়াগাছিয়া বাজার, নলবুনিয়া, রায়েন্দা,তাফালবাড়িসহ আরও কয়েকটি স্থানে বাস থামালেও কোথাও বাস–টার্মিনাল নেই। আছে কয়েকটি যাত্রী ছাওনি। পহলানবাড়ি, আমড়াগাছিয়া বাজার, রায়েন্দায় যাত্রী ছাওনি থাকলেও তা ব্যবহার অযোগ্য। পহলানবাড়ি যাত্রী ছাওনি দিয়ে পানি পড়ে আবার বসার স্থান নষ্ট হয়ে গেছে, ফাটল ধরছে সিমিট বালি উঠে গেছে সেটা সংস্করণ করা দরকার। রায়েন্দা বাজারের যাত্রী ছাওনি তা এখন চায়ের দোকানে দখল।
এই প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পায়,উপজেলার সদর রায়েন্দা বাজারের পাচ রাস্তার মোড় সংলগ্ন যাত্রী ছাওনি দখল করে দুটি চায়ের দোকান গড়ে উঠেছে। এতে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।অনেক সময় দেখা যায় বাস স্টপে বাস আসতে দেরি হয় সেক্ষেত্রে যাত্রীরা যাত্রী ছাওনিতে বসে বাসের জন্য অপেক্ষা করে কিন্তু সেই জায়গা দখল করে চায়ের দোকান হলে যাত্রীরা যাবে কোথায় প্রশ্ন এই প্রতিবেদকসহ সাধারণ যাত্রীদের।দখলকৃত যাত্রী ছাওনি অতি দ্রুত উদ্ধার করে বাকিগুলো সংস্করণ করা প্রয়োজন।
যাত্রী ছাওনি ও বাস টার্মিনালের বিষয় কথা হলে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের বাগেরহাট জেলার উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলি সনৎ কুমার সাহা বলেন, আগামী প্রকল্পে বাস টার্মিনাল বানানোর কথা চলছে। তবে যাত্রী ছাওনির কথা হলে তিনি বলেন যাত্রী ছাওনি আমরা বানাই না কিংবা দেখাশুনা করার দায়িত্ব আমাদের না।এগুলো জেলা পরিষদ দেখবাল করে।
অবগত করা হলে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর–ই আলম সিদ্দিকী বলেন বিষয়টি আমি জানতাম না আপনার কাছ থেকে শুনেছি। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply