কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
দেশের পূর্বাঞ্চলের সুনামগঞ্জ ও সিলেটের দিক থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের টানা বর্ষণে করিমগঞ্জের ৫ টি ইউনিয়ন ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। সুতারপাড়া, নিয়ামতপুর, গুনধর, জয়কা ও গুজাদিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে হটাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
প্রশাসন থেকে বন্যা মোকাবেলা ও ত্রাণ কার্যক্রমের ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু জানিয়েছেন।
তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান, ৪২ টি আশ্রয় কেন্দ্র ও পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রীর মজুত রাখা হয়েছে। তাছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবীসহ, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিগণ প্রস্তুত রয়েছেন।
এদিকে শনিবার (১৮ জুন) বিকালে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম হাওর উপজেলা ইটনা, মিটামইন, অষ্টগ্রাম ও নিকলীর বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে ফেরার পথে করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখোলায় যাত্রা বিরতি করেন।
তিনি এখানকার মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা শোনেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
করিমগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সুতারপাড়া ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গ্রামে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু, সুতাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূইয়া এসময় তার সাথে ছিলেন।
Leave a Reply