মঠবাড়িয়া,পিরোজপুর প্রতিনিধি;-
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পরকিয়ায় বাঁধা দেয়ায় শিমু বেগম (৩২) নামে গৃহবধূকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত স্বামী শহিদুল ইসলাম (৪০) ও শশুড় সামসের হাওলাদার (৬৫) এর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৯ জুন) আসামীরা মঠবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে জামিনের প্রার্থনা করলে আদালতের বিচারক কামরুল আজাদ ওই দুই আসামীর জামিন নামঞ্জুর করেন। একই সাথে অন্য ৩ আসামীর জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে আইনজীবি এডঃ দিলীপ কুমার পাইক নিশ্চিত করেছেন। নিহত শিমুর ভাই আনোয়ার পারভেজ বাদি হয়ে ভগ্নিপতি শহিদুল ইসলামসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে গত ৬ জুন মামলা করেন। আনোয়ার পারভেজ উপজেলার শাখারীকাঠি গ্রামের মোশারেফ হাওলাদারের ছেলে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ বছর আগে পশ্চিম মিঠাখালী গ্রামের সামসের হাওলাদারের ছেলে শহিদুল ইসলামের সাথে শিমুর বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে একটি কন্যা ও পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। প্রবাসি শহিদুল সম্প্রতি দেশে আসেন। শহিদুল দেশে আসার পর থেকেই প্রকাশ্যে স্ত্রী শিমুর চেহারা নিয়ে বিদ্রুপ করে ও ডিভোর্স দিয়ে চলে যেতে বলার পাশাপাশি মারধর করে। একই সাথে শহিদুল মোবাইলে বিভিন্ন নারীদের সাথে প্রমালাপ করে। শিমু বিষটি তার শ্বশুর-শাশুড়ীকে জানালে তারাও তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যেতে বলেন। এ নিয়ে শিমুকে তার স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজন গত ২৩ মে প্রথম দফায় নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। শিমু চলে না যাওয়ায় পরের দিন ২৪ মে রাতে পরিকল্পিত ভাবে শিমুকে হত্যা করে ভাড়া বাসার টয়লেটের চালার রুহার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে তারা শিমু আত্মহত্যা করেছে মর্মে চিৎকার করে ও ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এটা হত্যার ঘটনা এমন অভিযোগ উঠলে ২৫ মে পুলিশ দায়সাড়া আত্মহত্যার প্ররোচনায় একটি মামলা নেয় বলে নিহতের ভাই আনায়ার পারভেজ মামলায় উল্লেখ করেন।
তিনি মামলায় আরও উল্লেখ করেন, তার বেনের পা টয়লেটের ফ্লোরে দাড়ানো ছিলো। পুলিশ আসামী পক্ষদ্বারা প্রভাবিত হয়ে সুরতহাল রিপোর্টেও তথ্য গোপন করেছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে নতুন দায়ের করা মামলাটি আগের মামলার সাথে সংযুক্ত হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply