লিয়াকত মাসুদ,কসবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি;-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মান্দারপুর গ্রামে জোরপূর্বক গাছ কেটে ফেলা, রাস্তার জায়গা নেয়া, জায়গা জমি দখলসহ নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার লূটে নেয়ার অভিযোগ গ্রামের বাসিন্দা ভূক্তভোগী শফিকুল ইসলাম স্বপনের বড় ভাই তাজুল ইসলাম ও তার সহযোগী প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন যাবত নিজ ভাই ও তার সহযোগীদের মাধ্যমে বিভিনś ভাবে হয়রানীর শিকার স্বপন মিয়ার পরিবার। এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভ’ক্তভোগী শফিকুল ইসলাম স্বপন মিয়া।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শফিকুল ইসলাম স্বপন মিয়ার পরিবার তার ভাই তাজুল ইসলামের মাধ্যমে বিভিনś ভাবে হয়রানীর শিকার হয়ে দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছেন। তার বড় তাজুল ইসলামের সাথে প্রতিবেশী আবুল কালাম, সামছুল আলম, আবুল কাশেম,শাহ জালাল মিয়া, রফিক মিয়া সহ বেশ কয়েকজন প্রতিবেশীও তাজুল ইসলামের পক্ষ হয়ে স্বপন মিয়ার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানী করছেন বলে অভিযোগ স্বপন মিয়ার। সম্প্রতি স্বপন মিয়ার বড় ভাই তাজুল ইসলাম প্রতিবেশী চক্রের যোগসাজসে স্বপন মিয়ার জায়গা থেকে জোরপূর্বক বেশ কয়েকটি বড় কাঠ গাছ এবং বাঁশঝাড় থেকে শতাধিক বাঁশ কেটে ফেলা হয়েছে। স্বপন মিয়ার পরিবার বাধা দিলেও মানছেনা তারা। জোরপূর্বক স্বপন মিয়ার ঘরের তালা ভেংগে ঘরে ঢুকে করে নগদ ৪ লাখ টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে নিয়ে যায়। এ সকল বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আইনী প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও তাদের অত্যাচারে বিপর্যস্ত স্বপন মিয়ার পরিবার। সম্প্রতি স্বপন মিয়ার একটি জমির ধানও জোরপূর্বক কাটিয়া নিয়া যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি। বড় ভাই সহ প্রতিবেশী চক্রের সকল প্রকার ষড়যন্ত হতে রেহাই পেতে এলাকার অভিভাবক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সহযোগীতা কামনা করেন ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম স্বপন মিয়া।
ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শফিকুল ইসলাম স্বপন মিয়া বলেন, ২০০৪ সন থেকে তার বড়ভাইসহ প্রতিবেশী চক্রের ষড়যন্ত্রের কারনে বিভিনśভাবে হয়রানী হয়ে আসছেন তার পরিবার। তার বুঝে আসছেনা কেন তার বড় ভাই প্রতিবেশীদের নিয়ে এভাবে হয়রানী করছে তার পরিবারকে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তাজুল ইসলামের সাথে জানতে চাইলে গাছ কাটার জায়গাটি তার নিজের দাবী করে তিনি বলেন, পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে এই রাস্তা । এই রাস্তায় মানুষ চলাচলের স্বার্থে বড় করার জন্য রাস্তার উপর থাকা গাছ কেটেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম বলেন, এ বিষযে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply