এম এ হান্নান পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ- কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে পুলেরঘাট বাজার রণক্ষেত্র পরিণত হয়েছে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে পুলেরঘাট বাজারে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সাবেক এমপি এডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন গ্রুপটি পুলেরঘাট বাজারে সমাবেশ আহ্বান করে। একই সময়ে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ গ্রুপটিও একই স্থানে কর্মসূচি ঘোষণা করে। বিকালে দুই গ্রুপ মিছিল বের করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় গ্রুপের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের পুলেরঘাট বাজারের দুপাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় পুলেরঘাট বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া ছাড়াও কিশোরগঞ্জ সদর ও কটিয়াদী থানা থেকেও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে স্থানীয়ভাবে ১২ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর এর জেলা প্রতিনিধি খায়রুল আলম ফয়সাল (৩৩), পাকুন্দিয়া উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মাছুম (৩৫), জুনিয়াইল গ্রামের হারিছ (৩০), পাঁচলগোটা গ্রামের কবির (৩৫), পাকুন্দিয়া উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি নাজমুল আলম দেওয়ান (৪০), বিষুহাটি গ্রামের আরিফ (৩০), আদর্শপাড়া গ্রামের খায়রুল (৩৫), মাইজহাটি গ্রামের স্বপন (৩০), চণ্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান (৬৫), ষাইটকাহন গ্রামের মুকুল (৩৫), পাকুন্দিয়া সদরের টিপু (৪০) ও রিপন (৩৮)।

আহতদের মধ্যে সাংবাদিক খায়রুল আলম ফয়সালকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ও স্বপনকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত অন্যদেরকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত কয়েকজনকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দাবি করলেও সন্ধ্যার পর থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে।