পঙ্কজ মিত্র:মঠবাড়িয়া(পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের পর নামের বিভ্রাটের অজুহাতে ছেড়ে দেয়ায় জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় বিয়ের আসর থেকে পুণঃরায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকেলে পৌর শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গভীর রাতে ছেড়ে দেয়া হয়।
নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে সিলেটের একটি মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হয় মো. বাবু তালুকদার ওরফে রাসেল (৩৫) এর বিরুদ্ধে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঠবাড়িয়া থানার এস আই কামরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে পৌর শহরের বহেরাতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানা হাজতে রাখেন। পরে রহস্য জনক কারনে গভীর রাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় জনমনে পুলিশ সম্পর্কে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় শুক্রবার বিকেল উপজেলার বড়শৌলা গ্রামের বিয়ের আসর থেকে তাকে পুণঃরায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত বাবু তালুকদার উপজেলার আমরবুনিয়া গ্রামের আব্দুল খালেক তালুকদারের ছেলে ও তুষখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারের ভাগিনা।
তুষখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার জানান, তার ভাগিনা রাসেল সম্প্রতি বিদেশ থেকে আসে। শুক্রবার তার বিয়ের দিন ধার্য থাকায় আমি মানবিক কারনে ছেড়ে দেয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাকে জানায় তার (রাসেল) বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে। পরে জানতে পারি ধানীসাফা ইউপি চেয়ারম্যান প্রত্যয়ন দেয়ায় আমার ভাগিনাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ধানীসাফা ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন তালুকদার প্রত্যয়ন দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ ব্যক্তির দুটি নাম তা তার জানা ছিলো না।
মঠবাড়িয়া থানার এস আই কামরুল ইসলাম জানান, ওই ব্যক্তিকে রাসেল নামে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু ধানীসাফা ইউপি চেয়ারম্যান প্রত্যয়ন দিয়েছেন ওই ব্যক্তি বাবু। নামে মিল না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ওসি মুহা নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, নামের বিভ্রাটের কারনে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিলো। পরে যাচাই করে তাকেই শুক্রবার বিকেলে পুণঃরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
Leave a Reply