মোঃ মোশাররফ হোসেন মনির,শরণখোলা প্রতিনিধি;-
সড়কের দু’পাশের সারিবদ্ধ গাছ হেলে রয়েছে সড়কের উপর বাধাগ্রস্ত হচ্ছে যানচলাচল। পদ্মা সেতু চালু হয়েছে কিন্তু শরণখোলায় উন্নয়নের ছোয়া লাগতে হবে বাধাগ্রস্ত ।
বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার শরণখোলা—মোরেলগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশের সারিবদ্ধ গাছগুলো হেলে রয়েছে সড়কের উপর। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে যানচলাচলে।
সম্প্রতি দেশের সেই আলোচিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু খুলে দিছে। ফলে দক্ষিনাঞ্চলে উন্নয়নের ছোয়া লাগবে।যোগাযোগ ব্যবস্থাও হবে আরও মজবুত। কিন্তু শরণখোলা—মোরেলগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের দু’পাশে সারিবদ্ধ বিভিন্ন ধরনের গাছ সড়কের উপর হেলে থাকায় এ উপজেলায় উন্নয়নের ছোয়া পেতে বাধাগ্রস্ত হবে। লোডবাহী ট্রাক,দূর পাল্লার পরিবহন বাস,লোকাল বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আবার এই গাছগুলো হেলে থাকার কারণে দুর্ঘটনারও ঝুঁকি রয়েছে। দু’পাশ থেকে যখন দুটি গাড়ি আসে তখন একটি অপরটিকে সাইড দিতে হয়।আর তখন গাছ হেলে থাকার কারণে ওই গাছগুলোর সাথে ধাক্কাও লাগে অনেক সময়। এতে একদিকে যেমন ঝুঁকি রয়েছে অপরদিকে সময় নষ্ট হচ্ছে।একটি গাড়ি যে গতি নিয়ে আসছে গাছ হেলে থাকার কারণ এ ওই গাড়ি সব জায়গায় ওই গতিতে চলতে পারে না ফলে টাইমের গাড়ি যথা সময়ে পৌঁছাতে পারে না।আবার রাতের অন্ধকারে চলা আরও ঝুঁকি।
কথা হলে পরিবহন বাস চালক ও ট্রাক চালকরা জানান তারা ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে রাস্তার দু পাশের গাছ হেলে থাকার কারণে চলচলে কস্ট হচ্ছে।
দূরপাল্লার বাস এস.এ পরিবহনের চালক আল মামুন জানান, রায়েন্দা থেকে আমড়াগাছিয়া পর্যন্ত রাস্তা চেকন এবং দুই পাশের গাছের ডাল রাস্তার উপর হেলে রয়েছে আবার পহলানবাড়ি থেকে আমড়াগাছিয়া পর্যন্তও বিভিন্ন গাছ সড়কের উপর হেলে রয়েছে, চেয়ারম্যান ব্রীজ এর একটি বটগাছ এর ডালপালায় ভরপুর হয়ে আছে সেগুলো জুড়ে দিলে ভালো হয়। পদ্মা পরিবহন এর চালক আরিফ জানান, শরণখোলার রায়েন্দা থেকে মোরেলগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের গাছগুলোর ডাল রাস্তার উপর হেলে রয়েছে। মোরেলগঞ্জ এর কাঠের পোল ও সিআরসির মাঝামাঝি দুটি গাছ পড়ে থাকার কারণে সেখানে চলাচলও ঝুকিপূর্ণ। এভাবে একই অভিযোগ একাধিক চালকের।
তাদের এ অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদক সরেজমিন পরিদর্শনে যান এ সময় তাদের এ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে বলেশ্বর পরিবহনে রায়েন্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে পহলানবাড়ি পর্যন্ত চালকের পাশে বসেই আসেন।ওই বলেশ্বর পরিবহনের চালক শহিদুল জানান,কয়েকদিন আগেও অন্য একটা গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে একটি গাছের সাথে গাড়ির ধাক্কা লাগে।আমাদের রাস্তায় কোনো সমস্যা হয় না কিন্তু রাস্তার পাশের গাছের ডালগুলো রাস্তার উপর হেলে থাকায় আমাদের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়।যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। আবার গাড়ির কোনো ক্ষতি হলে মালিকদের জবাবদিহি করতে হয় আমাদের। কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ তারা যেন রাস্তার পাশের গাছ গুলো পরিষ্কার করে দেয়।
শরণখোলা – মোড়েলগন্জ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন রায়েন্দা পাঁচ রাস্তার মোড় থেকে শরণখোলা বাজার পযর্ন্ত হেলে পড়া গাছের অনেক বেশি এবং হেলে পড়া গাছের কারণে বাস চলাচল বাধা গ্রস্ত হচ্ছে।
আমরা প্রতি বছর সরকার কে কোটি কোটি টাকা ভ্যাট দিয়ে থাকি।
অবগত করা হলে শরণখোলা ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার (এসও) ফিরোজ আলী বলেন, এগুলো বনবিভাগ দেখবে তাদের অবগত করেন।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নুর–ই আলম সিদ্দিকীর সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ বিষয় আমি জানতাম না তবে বাস চালকরা অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply