কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ- সুন্দরবনের খাল ও নদীতে কীটনাশক দিয়ে মাছ শিকার প্রতিরোধে বন বিভাগের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। প্রতিনিয়ত আটক করা হচ্ছে অবৈধ চিংড়ি মাছ সহ নৌকা কীটনাশক, মাছ ধরার বিভিন্ন জাল সহ বরফ। গতকাল ৪ জুলাই রাত ২ টার দিকে কাশিয়াবাদ স্টেশনের অধিনস্থ শাকবাড়িয়া টহল ফঁাড়ির টানাভারানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ শ ৭০ কেজি চিংড়ি মাছ সহ ১ টি নৌকা আটক করে শাকবাড়িয় বন টহল ফঁাড়ির স্টাফরা। একই দিন রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বজবজা টহল ফঁাড়ির স্টাফরা অভিযান চালিয়ে ১ টি নৌকা নিষিদ্ধ ভেশাল জাল, বরফ অবৈধ ক্ষতিকর কীটনাশক আটক করে। অন্যদিকে খাশিটানা টহল ফঁড়ির স্টাফরা একই রাত ১ টার দিকে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভারতীয় বিষ সহ ১ টি নৌকা বরফ সহ অন্যান্য মালামালা আটক করে। জানা গেছে এর আগে গত ৩ জুলাই রাতে কাশিয়াবাদ স্টেশনের স্টাফরা ১ শ কেজি মাছ সহ ১ টি নৌকা আটক করে। ২ জুলাই দিনগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের অধিনস্থ কাশিয়াবাদ স্টেশন ও তার আওতাধীন টহল ফাঁড়ির স্টাফরা বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৪ শ কেজি চিংড়ি জব্দ ও তিনটি নৌকা, হরিণ ধরার সরঞ্জাম ও ফাঁদসহ বরফ জব্দ করা হয়েছে। ১ জুলাই রাতে কাশিয়বাদ স্টেশন কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে কুলুখালীর ভারানী এলাকা থেকে ২৭০ কেজি বিষ প্রয়োগ করা চিংড়িসহ একটি নৌকা আটক করে। এছাড়া লঞ্চে অভিযান চালিয়ে ৬০ কেজি জেলি মিশ্রিত চিংড়ি আটক করা হয়। অন্যদিকে বজবজ বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তানজিলুর রহমানের নেতৃত্বে ওইদিন রাত ১২টার দিকে খড়কুড়ি নদীতে অভিযান চালিয়ে হরিণ ধরার ফাঁদ চারটি চাকু বরফসহ হরিণ ধরার সরঞ্জাম একটি নৌকা আটক করা হয়। এ সময় বন বিভাগের অভিযান জানতে পেরে হরিণ শিকারিরা পালিয়ে যান। অপরদিকে ২ জুন রাত ১টার দিকে খাশিটানা বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে ছেড়ারমুখে অভিযান চালিয়ে একটি নৌকাসহ ৮৫ কেজি অবৈধ চিংড়ি জব্দ করা হয়েছে। পরে তা কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতের নির্দেশক্রমে মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়েছে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, সুন্দরবনের সব ধরনের বনজ সম্পদ আহরণ ও পর্যটক তিন মাস বন্ধ রয়েছে। তদুপরি দুষ্কৃতিকারীরা সুযোগ পেলেই বনে প্রবেশ করে বনজ সম্পদ অবৈধভাবে আহরণের চেষ্টা করেন। এগুলো প্রতিহত করতে সুন্দরবনে নিয়মিত টহল কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে। গেল জুনে রেঞ্জ ভিত্তিক অবৈধ উদ্ধার করা বনজ সম্পদ, আটকদের নামে মামলা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৩৯ টি মামলার বিপরীতে ৪৭ জন আসামির নামে মামলা করা হয়েছে।
Leave a Reply