মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। ঈদ-উল-আযহাকে সামনের রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও মঠবাড়িয়ার পৌর এলাকাসহ উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ১৫টি স্থানে বসেছে পশুর হাট। হাটগুলো হলো মঠবাড়িয়া পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দর, ১নং তুষখালী ইউনিয়নের তুষখালী বাজার, ২নং ধানীসাফা ইউনিয়নের সাফা হাইস্কুল মাঠ ও আলগী পাতাকাটা বাজার, ৩নং মিরুখালী ইউনিয়নের মিরুখালী বাজার, ওয়াহেদাবাদ বাজার ও ভগিরথপুর বাজার, ৪নং দাউদখালী ইউনিয়নের রাজারহাট বাজার ও দাউদখালী নতুন হাট, ৬নং টিকিকাটা ইউনিয়নের কুমিরমারা বাজার ও মোল্লার হাট, ৭নং বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের বেতমোর বাজার ও কালীরহাট, ৮নং আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া বাজার ও মধ্য সোনাখালী বাজার, ৯নং সাপলেজা ইউনিয়নের আলিশ্বার মোড়, ১০নং হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়নের গুলিসাখালী বাজার এবং ১১নং বড় মাছুয়া ইউনিয়নের বড়মাছুয়া বালুর মাঠ। এ বছর ভারতীয় পশুর আমদানী কম থাকায় প্রতিটি বাজারেই দেশীয় গরুর সংখ্যা বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রচুর পরিমানে দেশী গরু নিয়ে বিক্রেতারা বাজারে আসছে। তবে এবছর অধিকাংশ হাটগুলো ক্রেতাশূন্য বলে দাবী করেছেন ইজারাদাররা। অনেক ক্রেতা মূল্য যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন বাজার ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বড় মাছুয়া বাজারের গরু ব্যবসায়ী হোমায়েত জানান, দেশী গরুর চাহিদা বেশী। তবে বাজারে এখন পর্যন্ত ক্রেতা সমাগম কম। মোল্লার হাট বাজারের গরু ব্যবসায়ি এমাদুল হকও একই কথা বলেছেন। ছিনতাইকারী ও প্রতারকচক্রের ফাঁদ থেকে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে এজন্য পুলিশ প্রশাসন এর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বুধবার মঠবাড়িয়া সদর উপজেলা বাজারে গিয়ে প্রচুর দেশী গরু দেখা গেছে। তবে ক্রেতা উপস্থিতি কম দেখা গেছে। বাজারের ইজারাদার মো. মজিবর রহমান শিকদার বলেন, শীঘ্রই জমে উঠবে গরু বাজার। এ বছর ইজারা শিথীল করা হয়েছে। ছাগল বিক্রিতে হাজার প্রতি ৫০ টাকা ও যে কোন আকারের গরু ১ হাজার টাকা ধার্য্য করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নূর আলম বলেন, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সকল বাজারে সার্বক্ষণিক ডাক্তার রাখা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া অফিসার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, ঈদ বাজার উপলক্ষ্যে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে এজন্য গোয়েন্দা ও পুলিশের বিশেষ টিম মাঠে কাজ করছে।
Leave a Reply