মোঃ মোশাররফ হোসেন মনির
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি;-
বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলায় কৃষি জমি নষ্ট করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের রমরমা ব্যবসা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কয়েকটি মহল দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যাবসা চালিয়ে আসছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নলবুনিয়া গ্রামের সরদার বাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনের সড়কের পাশের বড় কোলা (মাঠ) থেকে কৃকৃষি জমি নষ্ট করে প্রকাশ্য দিবালোকে চলছে এ অবৈধ কর্মযজ্ঞ।
সূত্র আরও জানায়,আমেরিকা পার্টি নামে পরিচিত শেখ রশিদ নামের এক লোক তার নিজস্ব ফসলি জমি নষ্ট করে অবাধে এ বালু উত্তোলন করছে। যেটি আইনানুসারে অবৈধ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ধানসাগর নলবুনিয়া আলিম মাদ্রাসার পিছনের একটি কৃষি জমির মাঠ থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছে একটি মহল।যে স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তার আশেপাশে সব ফসলি জমি। আবার তার পাশেই রয়েছে একটি সরকারি খাল যেটি এখন ভরাট হয়ে ফসলি জমি হয়ে গেছে। এটি প্রতি বছর লিস দেয় সরকার। কৃষি জমি নষ্ট করে অবাধে বালু উত্তোলন করলে আশেপাশের জমি দেবে যেতে পারে বলে দাবি সচেতন মহলের।
এভাবে কৃষি জমি নষ্ট করে অবাধে বালু উত্তোলন করা কৃষি ও পরিবেশ উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। কৃষি নির্ভর এ উপজেলায় এভাবে অবাধে কৃষি জমি নষ্ট করলে একদিকে যেমন কৃষি সংকটে পড়বে দেশ ঠিক অপরদিকে মাটির তলদেশ হতে বালু উত্তোলন করায় পরিবেশের উপরও পড়বে এর প্রভাব। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য হবে নষ্ট।
এ বিষয় শরণখোলা উপজেলার নবাগত কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকারকে অবগত করা হয় এবং তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কৃষি জমি নষ্ট করে অবাধে বালু উত্তোলন করলে কৃষির ওপর কি ধরনের প্রভাব পড়তে পারে এ সময় তিনি বলেন, যে স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হবে সেখানে গর্ত হতে পারে ফলে ঐ স্থানের আশেপাশের জমি দেবে যেতে পারে এতে ফসিল জমি নষ্ট হবে।তবে তথ্য পেয়ে আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি এবং বালু উত্তোলন বন্ধ করেছি। ইউএনওর অনুমতি ছাড়া বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করেছি
অবগত করা হলে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নুর–ই আলম সিদ্দিকী বলেন,বিষয়টি আমি ইতোমধ্যে শুনেছি আমরা খুব শীগ্রই আইনী ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply