1. admin@danikagonikontho.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০১:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় বর্ণি ইউনিয়ন ফকির বাজার ফুটবল টুর্নামেন্ট এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত বিশ্ব পানি দিবসে অনলাইন নলেজ সোসাইটির ব্যাতিক্রমি উদ্যোগ নাজিরপুরে আশ্রয়ন প্রকল্পের ৩১০টি জমি সহ ঘর হস্তান্তর মঠবাড়িয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেলেন ২৭০ পরিবার কয়রায় বিশ্ব পানি দিবস পালিত পীরগঞ্জে গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১৫৫টি ঘর উপহার ঠাকুরগাঁওয়ে ভুক্তি প্রধান -২০২৩ নির্বাচনে খগেন্দ্র নাথ রায় বিজয়ী শেরপুরে ফসিহ্ উল উলুম মাদ্রাসায় দাখিল পরিক্ষার্থীদের বিদায়, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত সুবর্ণচরে ৪র্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ প্রদান উপলক্ষে ইউএনও’র প্রেস ব্রিফিং নাজিরপুরে কলেজছাত্রী লামিয়া হত্যার বিচারের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

মঠবারিয়ায় টুংটাং শব্দে মুখরিত কামার পড়া

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৯ জুলাই, ২০২২
  • ৫৩ বার পঠিত

পঙ্কজ মিত্র:মঠবা‌ড়িয়া(‌পি‌রোজপুর) প্র‌তি‌নি‌ধিঃ কোরবানির ঈদ এলেই টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে দেশের বিভিন্ন জেলার কামার পাড়াগুলোতে। বেড়ে যায় কারিগরদের ব্যস্ততা।

এদিকে হাতুড়ি পেটা শব্দে মুখর পিরোজপুরের মঠবা‌ড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের কামারপাড়া। সারাদিন তপ্ত ইস্পাত গলিয়ে চলছে, দা, বটি, কোদাল, খোন্তা, কুরাল ও গরু জবাই করা ছুরি তৈরির কাজ। দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন তারা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন। কামারপাড়ায় এখন গেলেই শোনা যায় হাতুড়ি পেটানোর শব্দ। কেউ ভারী হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরাঙা লোহার খন্ড। কেউ ভোঁতা হয়ে পড়া দা ও ছুরিতে শাণ দিচ্ছেন। কেউবা হাপর টানছেন। কেউ আবার কয়লার আগুনে বাতাস দিচ্ছেন।

মঠবা‌ড়িয়া উপজেলার বাজার গুলোতে বিভিন্ন কামারের দোকান ঘুরে দেখা যায় দা, ছুরি, চাকু ও বঁটির বেচাকেনা বেড়েছে। দামও সন্তোষজনক। তবে কামারপাড়ার কারিগররা অভিযোগ করেন, তাদের পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি অনেক কম। সারা দিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শরীরে তৈরি হয়। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে মঠবা‌ড়িয়ায় কমে যাচ্ছে কামার সম্প্রদায়। বাধ্য হয়ে পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করছে অনেকে।

মঠবা‌ড়িয়া উপজেলার কামাররা বলেন, সারা বছর আমাদের মোটামুটি বিক্রি হয়। তবে কোরবানি এলে বিক্রি হয় একটু বেশি। উৎপাদন ও প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় লাভ আগের চেয়ে কম। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের কর্মকাররা জানান, কোরবানির ঈদে তারা প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের উপকরণ তৈরি করেন। বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। এছাড়া আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসব পণ্য তৈরির বেশকিছু প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় কামার সম্প্রদায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। তাদের প্রত্যাশা সরকারি পৃষ্ঠপেষকতা পেলে এ শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।

উপজেলার বড়মাছুয়া বাজারের স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষণ কর্মকার জানান, সারাবছর বেচাকেনা কিছুটা কম থাকে। কোনোরকম দিন যায়। এই সময়ের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি। কুরবানির ঈদের আগে বেচাকেনা একটু ভালো হয়। কয়েকজন ক্রেতা জানান, কুরবানি ঈদের আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছেন। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, বঁটির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© All rights reserved © 2021 Dainik Agoni Kontho
Theme Customized By Theme Park BD