আকরাম আলী ডাকুয়া:নাজিরপুর,পিরোজপুর প্রতিনিধি;-
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলা সদর এর নাজিরপুর পাটগাতী আঞ্চলিক মহাসড়কের সংলগ্ন দীঘিরজান পেট্রোল পাম্পের পাশের্^ কাইউম শেখ এর বাড়ীতে প্রবেশ করে পরকীয়ার সূত্র ধরে জিসান নামে এক যুবক ১২ জুলাই ১২:৩০টা হইতে ১:০০টার মধ্যে কাইউমের বাড়ী ঢুকে তার এস এস সি পরীক্ষার্থী কন্যা মোহনা (১৫) কে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে ঐ বাড়ীর পাশের বাড়ীর বীণা বেগম ও সাহাদাত কাজীর স্ত্রী শিউলী বেগম (৪০), এ প্রতিনিধিকে জানান আমরা আমাদের ঘরের মধ্যে সেলাই মেশিনে কাজ করতে ছিলাম। তখন আনুমানিক ১২:৩০ টা হইতে ১:০০ টা বাজে, মোহনা ঐ দোতালা থেকে চিৎকার দিয়ে আর্তনাদ করছে, আমাকে বাচাও। আমরা তখন গিয়ে দেখি মোহনা ফ্লোরের মধ্যে কাতরাচ্ছে এবং নিজে বাথরুমে গিয়ে পানি দিয়ে শরীর ভিজিয়ে বলছে আমাকে কেউ ধইরোনা আমাকে জিসান নামে এক ছেলে ঘরে ঢুকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করার চেষ্টা করছে। এ সময় ভিকটিমের বাবা মা কেহই বাড়ীতে ছিল না এমনকি ঈদের ছুটিতে নিচ তলার গ্রামীণ ব্যাংক ও অন্যান্য ভাড়াটিয়া না থাকায় সুযোগে এ ঘটনা ঘটেছে। মোহনার বাবা মা কোথায় ছিল জানতে চাইলে শিউলি বেগম জানায় তার মা সকাল বেলা তার বাবার বাড়ীতে গিয়াছে আর পিতা কাইউম ঘরের বাহির থেকে ছিটকানি আটকাইয়া পেট্রোল পাম্পের কাছে গেছে। ঘরে শুধু কাইউম এর বৃদ্ধা মা অপর রুমে মোহনা ছিল। আমরা যাইয়া দেখি মোহনার কাপড়-চোপড় ভিজা এবং পোড়া। আমরা ফোন দিয়া ওর মাকে এবং ওর বাবাকে সংবাদ জানাই। তখন মোহনা আমাদেরকে জানায় জিসান আমাকে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমি তাকে চিনতে পেরেছি। এ ব্যপারে অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির এর সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপ করলে এ প্রতিনিধিকে জানান অভিযোগ আসলে মামলা রুজু করা হবে। কিন্তু তার পূর্বে যার নাম পাওয়া গেছে তাকে ধরার জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। অপর এক সূত্রে জানা যায় মোহনার কাছে ঝুমা নামে এক মেয়ে অংক শিখতে যাইত। সেই মেয়ের পরকীয়ার রেশে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারানা করা হচ্ছে।
Leave a Reply