কামাল উদ্দিন টগর,নওগাঁ প্রতিনিধিঃ- নওগাঁর আত্রাইয়ে মেহেদীর রং না মুছতেই শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে এক নবদম্পতির আত্নহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। এ নিয়ে এলাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যে কোন সময় উপজেলার সুদরানা গ্রামে।বুধবার( 20 জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,ওই গ্রামর ছাইফুল ইসলামের ছেলে মাসুম(23) গত দুই মাস পূর্বে বিয়ে করে তার আপন মামাতো বোন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের আস্কর আলীর মেয়ে লিমা খাতুনকে(18)। আত্নীয়তার সুবাদে পূর্ব থেকে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং সেই প্রেম থেকেই দু’জনের বিয়ে হয়। ছেলের মা নাদিরা বেগম জানান, মঙ্গলবার রাতে ছেলে মাসুম বাহিরে বেড়াতে যায়। এদিকে পুত্রবধু স্বামীর জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। পরে মাসুম বাড়ি আসলে রাতের খাবার না খেয়েই স্বামী স্ত্রী এক ঘরে শুয়ে পড়ে। পরে গৃহকর্ত্রী নাদিরা তাদের খাবারের জন্য ডাকাডাকি করলে মাসুম ঘুম থেকে উঠে খাবার খেলেও পুত্রবধু লীমা রাতের খাবার খায়নি।এদিকে বুধবার সকালে তাদেরকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য মা নাদিরা দফায় দফায় ডাকাডাকি করেন।কিন্তু তাদের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে পুত্রবধুর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এসময় তিনি চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এস শয়নঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখতে পান দু’জনের ঝুলন্ত লাশ। পরে তারা লাশ দুটি নামিয়ে নীচে রেখে দেন। এদিকে নবদম্পত্তির একসাথে আত্নহত্যার বিষয়টি প্রচার হলে এলাকার হাজার হাজার মানুষ ওই বাড়িতে ভীড় জমায়। সংবাদ পেয়ে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহম্মাদ রফিকুল হাসান ইবনে রহমান ও আত্রাই থানার ওসি তারেকুর রহমান ঘটনারস্থল পরিদশন করেন।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত রীদয় বিদারক। মনে হচ্ছে অভিমান করেই দু’জনে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।আত্রাই থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকার বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যপারে আত্রাই থানায় একটি ইউডি মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।#
Leave a Reply