মঠবাড়িয়া(পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ-
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একটি অফিস উদ্বোধনের সময় বোমা বিস্ফোরণের মামলার আসামি মুছা (২৫) কে এক দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মুছা উপজেলার উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে।
গত ১৪ জুলাই বিকেলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঐদিন রাতেই ইউনিয়ন যুবলীগ সাবেক সভাপতি মাইনুল ইসলাম বাদি হয়ে বড়মাছুয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাসির হোসেন হাওলাদারকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ মুছাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেন। ১৫ জুলাই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার এস.আই নূর আমিন আদালতে আসামিদের সোপর্দ করার পাশাপাশি মুছার রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। সোমবার (১৮ জুলাই) আদলতের বিচারিক হাকিম কামরুল আজাদ ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে এক দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। এদিকে বুধবার (২০ জুলাই) ওই মামলার ১৫ আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জুলাই উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়ন আ‘লীগের একটি অফিস উদ্বোধন করতে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা আ’লীগ সভাপতি রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস এবং উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ নেতাকর্মী নিয়ে বড় মাছুয়া বাজারে পৌঁছা মাত্র অফিস উদ্বোধনের বিপক্ষের স্থানীয় একটি গ্রুপ জয় বাংলা বলে শ্লোগান দিতে থাকেন। এসময় অফিস উদ্বোধনস্থলে পূর্বে থেকে উপস্থিত নেতাকর্মীরাও শ্লোগান দিতে থাকে। পরে দুই পক্ষের লোকজন একে অপরের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিবেশ স্বাভাবিক হলে অফিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট পরেই অনুষ্ঠানস্থলের পাশে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
উপজেলা আ‘লীগ সভাপতি রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস জানান, বিদ্রোহী ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হাওলাদারের নেতৃত্বে প্রথমে আমাদের গাড়ি বহরে গতিরোধ করা হয়। পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উদ্বোধন বানচাল করতে তারা বোমা হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হোসেন হাওলাদার তার নেতৃত্বে হামলা চালানোর ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, উল্টো আমাদের লোকজনের উপরে তাদের লোকজন হামলা চালিয়েছে। আমাদের যুবলীগের এক নেতা গুরুতর আহত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে বরিশালে রেফার করা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
Leave a Reply