এম এ হান্নান কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃকিশোরগঞ্জে পাকুন্দিয়ায় পৌর সদরের মরুরা গ্রামে সোহেল মিয়া (২৫) কে মারধর ও বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ফুফুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।

নিহত সোহেল মিয়া পাকুন্দিয়ায় পৌর সদরের মরুরা গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে। সোহেল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।

স্থানীয় সুত্র ও সোহেলের মায়ের বক্তব্যে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই মঙ্গলবার রাতে ছেলে সোহেল কারও ফোনকল পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যান, পরে দীর্ঘরাতেও বাড়িতে না ফেরায় সোহেলের মা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখোঁজি করে ভোর ৪ টার দিকে জানতে পারেন ছেলে তার ফুফুর বাড়ী উপজেলার মুনিয়াকান্দিতে আছে এবং তাকে সেখানে মারধর করে বেঁধে রাখা হয়েছে। ভোরবেলায় মা মুনিয়াকান্দি গেলে সেখানে মায়ের সাথে ফুফুর বাড়ীর লোকজনের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। অবশেষে ছেলেকে উদ্ধার করে গতকাল বুধবার (২০ জুলাই) সকালে প্রথমে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান।পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতরাতে মারা যায়।

সোহেলের মায়ের অভিযোগ, তার ছেলেকে ফুফুর বাড়ীর লোকজন বেধড়ক মারধর ও বিষপ্রয়োগে হত্যা করেছেন। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করেছেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সোহেলের ফুফাত ভাইয়ের বউয়ের সাথে সোহেলের পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করছেন।

এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মোঃ সারোয়ার জাহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রতিনিধিকে জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অতিদ্রুত তদন্ত করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে