1. admin@danikagonikontho.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সরাইলে প্রকৌশলী আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশ শিক্ষা বৃত্তি -২০২৩ প্রদান নাজিরপুরে প্রয়াত ওয়ার্ড বিএনপি নেতা লিয়াকত হোসেনের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ-২ সংসদীয় আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আওয়ামীলীগের এ্যাডঃ সোহরাব উদ্দিন অনিয়মের অভিযোগে নাজিরপুরের এ্যাসিল্যান্ড সাময়িক বরখাস্ত চট্টগ্রামে ছেলের হাতে বাবা খুন চট্টগ্রাম ইপিজেড থানা পুলিশের অভিযানে চোরাই মটর সাইকেল সহ গ্রেফতার -৫ চট্টগ্রামে কলেরার টিকা কার্যক্রমের তৃতীয় দিনে উপস্থিতির সংখ্যা কম মঠবাড়িয়ায় অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রয়কারি ৪ জনকে জরিমানা মঠবাড়িয়ায় মুজিব কেল্লা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন পিরোজপুর জেলা যুবদলের নবনির্বাচিত কমিটিকে নাজিরপুরে ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন

মঠবাড়িয়ার মেধাবী মামুনকে জেলা প্রশাসকের নগদ অর্থ সহায়তা প্রধান

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০২২
  • ১১৫ বার পঠিত

পঙ্কজ মিত্র,মঠবা‌ড়িয়া(‌পি‌রোজপুর) প্র‌তি‌নি‌ধিঃ-
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের দিনমজুর আল-আমিন আকনের ছেলে মামুন আকন এবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু অর্থাভাবে মেধাবী মামুন আকনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছিল। গণমাধ্যমে মামুন আকনকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাঁকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান।

রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মামুন আকনের হাতে সহায়তা হিসেবে নগদ টাকা তুলে দেন জেলা প্রশাসক। এসময় মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে ‘ঢাবিতে পড়ার সুযোগ পেয়েও ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঊর্মি ভৌমিকের নজরে আসে। এরপর ইউএনও মামুন আকনের বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানান।

মামুন আকন ২০১৯ সালে বড়মাছুয়া ইউনাইটেড হাই ইনস্টিটিউশনের থেকে মামুন আকন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। ২০২১ সালে মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েও জিপিএ-৫ পান। এরপর সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ‘গ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। ‘গ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় তাঁর অবস্থান ৫৩তম।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মামুন আকনের বাবা আল-আমিন আকন দিনমজুর। আল আমিন আকনের আয়ে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে পাঁচ জনের সংসার চালানো ছিল কষ্টকর। পরিবারটির দেড় কাঠা জমির ওপর বসতঘরটি ছাড়া কোন জমিজমা নেই। প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন মামুন আকন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভর্তির টাকা কিভাবে জোগার হবে সেই চিন্তায় ছিলেন মামুন আকন ও তাঁর পরিবার।

মামুন আকন বলেন, বসত ঘর ছাড়া আমাদের কোন সম্পদ নেই। বাবা দিনমজুরের কাজ করে যা পান তা দিয়ে সংসারের খরচ চলে। প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ চালিয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভর্তির টাকা জোগার ও থাকা খাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। জেলা প্রশাসক স্যার ২০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছেন। এছাড়া আরও এক ব্যক্তি সহায়তা করেছেন। এখন ভর্তির খরচ, বই কেনা ও ঢাকায় গিয়ে প্রাথমিক ভাবে থাকা খাওয়ার চিন্তা দূর হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© All rights reserved © 2021 Dainik Agoni Kontho
Theme Customized By Theme Park BD