মঠবাড়িয়া(পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ-
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের অমানুষিক নির্যাতনে গর্ভের পাঁচ মাসের সন্তান (ভ্রুন) হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
ভূক্তভোগী গুরুতর আহত হালিমা বেগম (২৭) এর বোন ফাতিমা বেগম বাদি হয়ে সোমবার (১৫ আগস্ট) মঠবাড়িয়া থানার প্রতিপক্ষ ৬ জনকে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেন। হালিমা বেগম উপজেলার মধ্য তুষখালী গ্রামের আ. ছত্তারের মেয়ে ও একই গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) মামলার আসামি কহিনুর বেগম, সোনিয়া বেগম ও আকলিমা বেগম মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে হাজির হলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আহত হালিমা বেগম ও তার বোন ফাতিমা বেগম ওই গ্রামের পৈতৃক বাড়িতে ফরায়েজ জমি ও অন্য মালিকানাধীন জমি কিনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিল। হালিমার স্বামী জীবনের তাগিদে ফেনী শহরে দিনমজুরের কাজ করে। এদিকে প্রতিপক্ষ রহমান গংরা দুই বোনকে উৎখাত করার জন্য বিভিন্ন সময় পায়তারা চালিয়ে আসছিল। এ ঘটনায় একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে।
গত সোমবার (৮ আগস্ট ) এ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাঁচ মাসের অন্তসত্বা হালিমা বেগমকে রহমান গংরা এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তার পেটে একাধিক লাথি মারে। হালিমা বেগমকে বাঁচাতে এসে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। সংবাদ পেয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ গুরুতর আহত হালিমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা, নুরুল ইসলাম বাদল মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply