পীরজাদা মোঃ মাসুদ হোসাইন,
রায়পুর, (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার ৮ নং দঃ চরবংশী ইউনিয়নে গত ২২ আগষ্ট সোমবার ড্রেজার মালিকদের সাথে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে এক সচেতনতামুলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনজন দাসের সভাপতিত্বে, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এডভোকেট মারুফ বিন জাকারিয়ার সঞ্চালনায়, উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরউদ্দীন চৌধুরী নয়ন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রায়পুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল ইকবাল, রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রায়পুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার বিএসসি, ৮ নং দঃ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু জাফর মিন্টু ফরায়জী, ২ নং উঃ চরবংশী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হোসেন আহমেদ, ৮ নং দঃ চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মনির হোসেন মোল্লা প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে, সাংসদ নুরউদ্দীন চৌধুরী নয়ন বলেন, ড্রেজারে কোন মাটি বা বালু উত্তোলন করা যাবেনা। রায়পুরে ৪৭ জন ব্যাক্তি ড্রেজারে মাটি কাটছে। আমি কোন ব্যাবসায়ী থেকে কোন কমিশন নিচ্ছিনা। এমপি হিসেবে আমি ১৭৩০০০ টাকা ভাতা পাই। আমার কোন ভাব বা অহংকার নেই, সাধারন জীবন যাপন করি। আপনারা হালাল উপার্জন করে সৎভাবে জীবন চালান। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কেউ মাটি কাটলে বা বালু উত্তোলন করলে আগামী শনিবার থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা করে সরকারী কোষাগারে জমা করা হবে। আমি কোন অবৈধ ব্যাবসার জন্য সুপারিশ করবোনা। এই অঞ্চলের নদী ভাঙ্গন রোধে ড্রেজার বন্ধ করতে হবে। কম খরচ করে কম খেয়ে, অপচয় রোধ করুন, তথাপিও দূর্নীতি করবোনা। দূর্নীতি না করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জনগন বার বার প্রধানমন্ত্রী বানায়। আগামীতেও তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি দক্ষ, সৎ ও দূর্নীতিমুক্ত প্রধানমন্ত্রী।
সভাপতির বক্তব্যে, রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সরকারের নির্দেশে নদী ভাঙ্গন রোধে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের বিরুদ্ধে অভিযান করা হবে। ইতিমধ্যে নদীভাঙ্গনের কারনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যারা অতি সুখে আছেন, তারাই এই অবৈধ ড্রেজারের সাথে জড়িত। সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষের কাছে ৪৭ জন বা ১০০ জন অবৈধ ব্যাবসায়ী কিছুইনা। অবৈধ ব্যাবসায়ীরা ৭১ এর রাজাকারের উত্তরসুরী। অবৈধ ড্রেজারের সর্বনিম্ন সাজা ২ বছর, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। নদী ভাঙ্গন রোধকল্পে আমরা কাউকে ছাড় দিবোনা। অবৈধ ড্রেজারের শুধু তথ্য দিয়ে নয়, ধরে আটকিয়ে আমাদের খবর দিবেন। মাননীয় সাংসদ এডভোকেট নুরউদ্দীন চৌধুরী নয়ন মহোদয়ের নির্দেশনায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল ইকবাল, উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ, ভাইস-চেয়ারম্যান মারুফ বিন জাকারিয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ মাষ্টার, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগনসহ সকলের সহযোগিতায় আমরা অবৈধ ড্রজার রুখবোই।
Leave a Reply