এম এ হান্নান পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ-কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর সদর বাজারের দ্বী-তল ভবন নির্মাণের নাম ফলক উদ্ববোধনের প্রায় এক বছরের শুরু হয়নি নির্মাণ কাজ। এতে করে বিপাকে অর্ধ শতাধিক ক্ষুদ্র কাঁচাবাজার, মুদি ব্যবসায়ী।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (CRMIDP) এর আওতায় ” পাকুন্দিয়া উপজেলাধীন পাকুন্দিয়া বাজারে দ্বী-তল গ্রামীণ বাজার ভবন নির্মাণ ” ২০২০ সালে প্রক্কালিত মূল্য – ২,১০,০০,০০০,০০ টাকা মূল্যের কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। ১,৭৭,৯২,৭৪৭,১২ টাকা চুক্তিমূল্যে দ্বী-তল গ্রামীণ বাজার ভবন নির্মাণ কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে.এ ট্রেডার্স কিশোরগঞ্জ। ২০২০ সালের জুন মাসের ১৩ তারিখ কাজ শুরু করে ২০২১ সালের ১৩ ই জুন কাজ শেষ করার চুক্তি থাকলেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে কাজ শুরু করতে পারেনি টিকাদারী প্রতিষ্ঠান তারপর ২০২১ সালের ১২ ই সেপ্টেম্বর উন্নয়ন মূলক কাজের উদ্ভোদন করেন স্হানীয় সাংসদ নূর মোহাম্মদ। এর কিছুদিন পর ঐ স্থানের ব্যাবসায়ীদের সরিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয় অস্থায়ী ও টিন শেডের ঘর। যায়গা দখল রোধে টিন দিয়ে বেড়া দেয় পাকুন্দিয়া পৌর কতৃপক্ষ।
দীর্ঘ প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও জেলা প্রসাশকের অনাপত্তিপত্র ( এন ও সি) না থাকায় উন্নয়ন মূলক কাজ শরু করতে পারেনি টিকাদার।
বাজারের ব্যাবসায়ী মোঃ রুবেল মিয়া জানান, পৌর কতৃপক্ষ আমাদের কে আশ্বস্ত করে বলেন আগামী এক বছরের মধ্যে ভবন হলে স্হায়ী ভাবে ব্যাবসা করতে পারবেন। যদি যায়গা খালি করে না দেন তাহলে তোমাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরাও সাময়িক লোকসান হলেও ভবিষ্যতের চিন্তা করে যায়গা খালি করি। এখনও কাজ শুরু করেনি আর কবে কাজ শুরু করতে পারবে তাও বলতে পারেনা পৌর কতৃপক্ষ।
আরেক ব্যাবসায়ী হেলাল মিয়া জানান, পৌর কতৃপক্ষ আমাদের একটা ভিট দিয়েছে যারml
পজিশন ভালো না হওয়ার ব্যাবসা মন্দা। ব্যাবসায়ীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবন নির্মাণের দাবি জানান।
ইজারাদার কফিল মিয়া বলেন, আমরা বাজার ডেকে নিয়েছি আয়কর, ভ্যাট সহ ২৬ লক্ষাধিক টাকায় , নতুন ভবনের যায়গায় ৫৬ টি দোকান থেকে ২০ টাকা করে নিতাম। এখন দোকান না থাকায় কোন কালেকশন নাই। এর আগে করোনার জন্য দুই বছরে বাজার থেকে প্রায় চারলক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে আমাদের।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে.এ ট্রেডার্স এর পক্ষে পাকুন্দিয়া বাজার দ্বী-তল গ্রামীণ বাজার ভবন নির্মাণ নির্মাণের দ্বায়িত্বরত মোঃ নয়ন বলেন এনওসি না থাকায় আমরা কাজ শুরু করতে পারেনি।
পাকুন্দিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ভূমি অফিস থেকে আমাদের কে বলা হয়েছিল পাকুন্দিয়া বাজারে দ্বী-তল গ্রামীণ বাজার ভবন নির্মাণের জন্য যায়গা টি খালি করে দেওয়া জন্য। আমরা ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলে যায়গা খালি করে দিয়েছি। এখন এনওসির জন্য ভবন নির্মাণ কাজ করা যাচ্ছে না। কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছি নিয়মিত যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে মান সম্মত দোকান নির্মাণের জন্য।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার জানান, ভবন নির্মাণের জন্য আমাদের উপজেলা থেকে যে কাজ করার কথা তা সম্পুর্ন করে জেলায় জমা দিয়েছি, উপজেলা পর্যায়ে আর কোন কাজ বাঁকি নাই। পরবর্তী কার্যক্রম জেলা থেকে করব ।
Leave a Reply