সরাইল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি;-
সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা কুতুব উদ্দিন ভুঁইয়ার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন কুতুব উদ্দিন ভুঁইয়ার একমাত্র ছেলে ভুক্তভোগী মো. সোহেল ভূইয়া।
মুক্তিযোদ্ধা কুতুব উদ্দিন ভুঁইয়ার ছেলে সোহেল ভুইঁয়া গণমাধ্যম কে বলেন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বাদে অরুয়াইল এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে তার প্রতিপক্ষরা।
তিনি বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ৭টায় আমি অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদে একটা মিটিংয়ে ছিলাম। প্রতিবেশী হোসেন খন্দকার প্রথমে আমাকে ফোন করে বাড়িতে আগুন লাগার খবরটি জানান। পরে অনেকেই আমাকে ফোন দিয়ে জানান। খবর শুনে বাড়িতে দৌড়ে গিয়ে দেখি আগুন নারিকেল গাছের আগা পর্যন্ত গিয়ে উঠেছে। পরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে গ্রামের দুই থেকে তিনশত লোক ঝড়ো হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, পূর্বে শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ আবু বকর সিদ্দিক লোকজন আমার তিতাস দুগ্ধ খামারের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে । এতে দুগ্ধ খামারের দুধ দোহনের মেশিন, জেনারেটর, গো-খাদ্য, খামারের আসবাবপত্রসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
প্রতিবেশী এনাম মিয়া জানান, হঠাৎ মাইকে ঘোষণা শুনতে পান যে, মুক্তিযোদ্ধা কুতুব উদ্দিন ভুঁইয়ার বাড়িতে আগুন লেগেছে। পরে দৌড়ে গিয়ে সবার সাথে আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করেছেন। তখন ওইখানে ২ থেকে ৩শ লোক ছিল বলে জানান।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসমাইল হোসেন জানান, গত রাতে আগুনের কথা শুনে তাদের বাড়িতে গিয়েছি। কিন্ত কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা বলতে পারবো না। তবে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।
সাবেক ব্যাংকার আবু বকর সিদ্দিক মোঠোফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। সোহেলের সাথে আমার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। আমাকে গায়েল করার জন্য সোহেল আগুনের ঘটনাটি সাজিয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মোঠোফোনে গণমাধ্যম কে বলেন, আমি রাতেই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে গিয়েছি। আগুনে বেশ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তাদের। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা জানা যায়নি। আশা করি পুলিশ প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ বের করবেন।
অরুয়াইল ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তা সরাইল থানার সহকারী পুলিশ উপপরিদর্শক (এএসআই) শামছুল আলম মোঠোফোনে গণমাধ্যমকে জানান, কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা কেউ দেখতে পায়নি। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply