আকরাম আলী ডাকুয়া
নাজিরপুর, পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলা সরদ ইউনিয়নের কুমারখালী বাজারে গত ১০ সেপ্টেম্বর বাজারের ফুটবল মাঠের দক্ষিণ পাশের্^ রেকর্ডীয় মালিকানাধীন জমির ভিতরে খাস জমি বলে দখল করে ঘর উত্তোলন করে বাণিজ্যিক সেন্টারে মহোৎসব ঘটিয়েছে স্থানীয় একটি দখলদার মহল। এ ব্যপারে থানায় অভিযোগ করেন আকরাম শেখ বাদী হয়ে তার পরেও কোন প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগী রেকর্ডীয় মালিক ছোট ভাই মোক্তার শেখ বাদী হয়ে পিরোজ প্রথম শ্রেণির বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারা মামলা করে থানায় আনলে থানা-পুলিশ ঐ মামলার নোটিশ জারি করেন।দখলদার বাহীনির সদস্যরা লায়েক মোল্লা, লিটন মোল্লা, মোস্তফা শেখ, আসাদুজ্জামান খান চুন্নু ও জনৈক আওয়ামীলীগ নেতার নিকটতম আত্মীয় সোহাগ শেখ, পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে আওয়ামীলীগের স্বসস্ত্র ক্যাডারদের ভাড়া করে এনে দোকান ঘরের ষ্ট্রাকচার এর কাজ সম্পন্ন করে। এ ব্যপারে ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল মামুন এর শরনাপন্ন হইলে তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে দখলদার বাহীনিকে ঘর ছাউনির কাজে বাধা দিয়ে বন্ধ করে রাখে বলে বাদী জানান। ভুক্তভোগী একলাছ শেখ, মুক্তা শেখ, আকরাম শেখ এবং পূর্ণিমা বেগম এ প্রতিনিধিকে জানান দখলদার বাহীনিদের দখল করে নেওয়া ঐ জায়গাটি আমাদের নিজেদের মধ্যে পিরোজপুর মুনসেবী আদালতে দেওয়ানী মোকর্দ্দমা ১৯৯০ সালে হলে আকরাম শেখ গং ঐ মামলায় রায় পান। এরপরে জেলা জজ দেওয়ানী আদালতে ভুক্তভোগী পূর্ণিমা বেগম এর পিতা নাজিরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেক এম সেরাজুল হক মোল্লা মামলা দায়ের করলে ঐ মামলা মহামান্য হাইকোর্টে আকরাম শেখ গং গ্রæপরা বন্টনের মামলা দায়ের করেন। মামলাটি এখনও চলমান। ঐ মামলা শেষ হতে না হতেই দখল দার বাহীনিরা খাস জমি দাবি করে অভিযোগকারীদের রেকর্ডীয় সম্পত্তি দখল করে বাণিজ্যিক সেন্টারের মহোৎব ঘটিয়েছে। ভুক্তভোগীরা আরো জানান ঐ সম্পত্তি এস এ ২৭৩ খতিয়ানের এস এ ৫২৬/৫২৩ দাগ বর্তমান বিএস ৩১৬ ও ৩১৩ দাগ ভুক্ত। জমির পরিমান ১.৪৯ একর। ল্যান্ড সার্ভে আদালতে মামলা নং ৫২৪/২২ মহামান্য হাইকোর্টের মামলা নং- ৩৭৮/২০৫ মুনসেফী আদালতের মামলা নং- ৬/১৯৯০, এর পরেও দখলদার বাহীনির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পওায়া যায় নি। এ ব্যপারে স্থানীয় উপজেলা ভ‚মি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ভ‚মি অফিস সূত্রে জানা যায় ঐ জায়গাটি সরকারি খাস কিনা সাভেয়ার কর্তৃক জরিপ করে দেখার ব্যবস্থা হচ্ছে। ভূমি অফিস সূত্রে আরো জানা যায় – দখলদার বাহীনির কুমারকালী বাজারের উপরে টহল ঘরের সামনে অবৈধ স্থাপনা করে দীর্ঘদিন ব্যবসা করলে ভূমি অফিসার ঐ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেয়। এর পরে দখলদার বাহীনিরা ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা দখলের চেষ্টা করে।
Leave a Reply