মঠবাড়িয়া(পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ-
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ ১৫ নেতার বিরুদ্ধে দলীয় বর্ধিত সভায় যোগদান না করা ও আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করাসহ দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।
এসব অভিযোগে উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর, পিরোজপুর জেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি ও মঠবাড়িয়া উপজেলা আ’লীগ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম সেলিম মিয়া, মঠবাড়িয়া পৌর আ’লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন আফজাল, উপজেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি আরিফ-উল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন খান, দলীয় পদধারি পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যান- রিয়াজুল আলম ঝনো, হারুন-অর-রশীদ তালুকদার, ফজলুল হক রাহাত, দেলোয়ার হোসেন আকন, রফিকুল ইসলাম রিপন, পৌর আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ বেপারী, উপজেলা আ.লীগ প্রচার সম্পাদক ফজলুল হক মণি, সাপলেজা ইনিয়নের আ’লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মজিবর মোল্লা ও আ’লীগ সদস্য সাবেক যুবলীগ সভাপতি শাকিল আহম্মেদ নওরোজ কে কারন দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্ত ১৫ নেতাকে পৃথক ভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস স্বাক্ষরিত দলীয় পত্রে এ তথ্য জানাগেছে ।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আসন্ন পিরোজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সালমা রহমান হ্যাপীর সমর্থনে গত ১৮ আগস্ট পিরোজপুর জেলা আ’লীগ সভাপতি ও সাবেক দলীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম এ আউয়াল এর সভাপতিত্বে মঠবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় উল্লেখিত ১৫ আ’লীগ নেতা অনুপস্থিত ছিলেন। এতে দলের সাংগঠনিক বিধি ভঙ্গ হয়েছে। এ জন্য দল তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেনা বলে প্রত্যেককে সাত দিনের মধ্যে কারন দর্শাতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর কারন দর্শানো নোটির প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জেলা থেকে বর্ধিত সভার কোন চিঠি পাননি। চিঠি না পাওয়ায় গত ১৮ আগস্ট তার স্ত্রীর জেলা পরিষদেও সদস্য পদের যাচাই বাছাইয়ের জন্য তিনি পিরোজপুর জেলাতে অবস্থান করছিলেন।
উপজেলা আ’লীগ সভাপতি রফিউদ্দিন ফেরদৌস বলেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ১৫ নেতা বর্ধিত সভায় উপস্থিত না হয়ে সাংগঠনিক শৃংখলা ভঙ্গ করেছেন। আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করার অভিযোগ উঠেছে। তাই দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ৬ অক্টোবর তাদের কারন দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। অন্যথায় দল তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক বিধিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
Leave a Reply