আহসান হাবীব স্টাফ রিপোর্টারঃ-
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের আব্দুর রব সমাজের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় মহা বিড়ম্বনায় ৮ পরিবারের বাসিন্দারা।

চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের প্রভাবশালী মৃত আজু সর্দারের পুত্র সাইফুল ইসলাম (৩৫)এর বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী মোঃ আহছান উল্যাহ (প্রতিবন্ধী) বলেন, প্রায় ২০/ ২৫ বছর আগ থেকে এ রাস্তা দিয়ে আমরা ৮ পরিবারের সদস্যরা চলাচল করে আসছি,আমার পাশের বাড়ির সাইফুল ইসলাম গত ১৫ দিন আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়,

আমি একজন প্রতিবন্ধী মানুষ, চলাচলের রাস্তাটি আটকে দেওয়ায় বাড়িতে ঢুকতে পারছি না। বাজার থেকে জিনিসপত্র কিনে তা মাথায় করে অনেক ঘুরে আসতে হচ্ছে।

আহছান উল্যাহ আরো বলেন, গত কিছুদিন আগে সাইফুল ও তার ছেলেসহ আরো ২জন লোক নিয়ে রাত ১১ টার সময় দোকান থেকে আসার পথে আমাকে কিল ঘুষি লাথি মারে, এসময় আমার সাথে থাকা এগারো হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ যুগেও এ ধরনের আচরণ করে মানুষ, তা ভাবা যায় না। জাহেলিয়াতের যুগের মতো আচরণ করছে তারা।

আমরা যে কী মানবেতর জীবনযাপন করছি, তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।

স্থানীয় ডাক্তার আলা উদ্দিন বলেন,প্রতিবন্ধী আহছান উল্যাহসহ ৮ পরিবারের বাড়ির সামনের চলাচলের ৬ ফুট প্রস্থের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় ৮ টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সমাজ প্রতিনিধি বাহার মাঝি জানান, সাইফুলের বিরুদ্ধে রাস্তাটি বন্ধের অভিযোগ করছেন প্রতিবেশীরা। রাস্তা বন্ধ করায় পরিবারগুলো প্রায় ১৫ দিন ধরে মহা বিড়ম্বনায় পড়েছে। কোন সমস্যা হলে সে সমাজের কাছে বিচার দিতে পারতো, বিচার না দিয়ে ৮ পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হয়নি তার।

মৃত মন্নাছের ছেলে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রতিবন্ধী আহছান উল্যাহ এর পুত্র আমার স্ত্রীকে গালমন্দ করায় রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছি। গালমন্দের বিচার ফেলে রাস্তাটি খুলে দিবো।

৫ নংচরজুবিলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ খসরু বলেন, এই বিষয়ে কেউ আমাকে অভিযোগ করেনি, খবর নিয়ে বিষয়টির মিমাংসা করবো।