রায়পুর, (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলাধীন সাগর্দী গ্রামে চাচার রাস্তার জমিন দখল করে ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে হানিফ(৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সে সাগর্দী গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ড মাঝি বাড়ির মৃত জয়নাল আবেদীনের পূত্র। নিজেকে সে র্যাবের এস আই পরিচয় দিয়ে হুমকি-ধমকি প্রদান করারও অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সে একজন নৌ-বাহিনীর সদস্য। গত ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার একই বাড়ির তার চাচা জনৈক বিল্লাল হোসেনের চলাচলের রাস্তাটি দখল করে সে একটি একচালা ঘর নির্মান করে। বিল্লাল এবং তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম বাধা দিলে সে তাদেরকে গালিগালাজ এবং মারধর করে। বিল্লাল কর্তৃক ৯৯৯ -এ কল দিলে তাৎক্ষণিক রায়পুর থানা পুলিশ গঠনাস্থলে গিয়ে কাজ করতে বারন করে এবং বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা বলে আসে। পুলিশ গঠনাস্থল ত্যাগ করার সাথে সাথে সে আবারো কাজ শুরু করে। খবর শুনে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও পুলিশ আবারো গঠনাস্থলে যায়। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীগন তাকে জিজ্ঞেস করলে সে নিজেকে র্যাবের এসআই পরিচয় দেয়। কাজ করতে বারন করায় সে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীর উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে সে তার হাতে থাকা বটি এবং লাঠি নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। তার হামলায় দুজন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী আহত হয়ে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা দুজন বয়স্ক স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে থাকি। আমার ভাতিজা হানিফ সবসময় আমাদের উপর নির্যাতন করে, গঠনার দিন সে ৭/৮ জন লোকসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমার হাটার রাস্তাটি দখল করে, আমি বাধা দিলে সে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে বেদম প্রহার করে, পুলিশ এবং সাংবাদিকদের সহায়তায় আমরা বেঁচে যাই। বাড়ির সবাইকে সে হুমকি দিয়ে বলে, সে র্যাবের এস আই, বাড়াবাড়ি করলে সবাইকে ক্রস ফায়ার দিবে, সবাইকে সে হুমকি দিয়ে দমিয়ে রাখে। ভূক্তভোগী হোসনেয়ারা বলেন, তার ভয়ে আমরা আতঙ্কে থাকি, যে কোন সময় সে আমাদের প্রাননাশ করতে পারে। একই বাড়ির তার আরেক চাচাতো ভাই, রায়পুর প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি এম এ করিম সাজু বলেন, হানিফ খুবই উশৃঙ্খল ছেলে, সে বাড়িতে আসলে আমরা আতঙ্কে থাকি। স্থানীয় মেম্বার জাহিদুল আলম সুমন বলেন, আমার সামনে গঠনাটি হয়, যাহা খুবই দূঃখজনক, হানিফ খুবই উশৃঙ্খল, আমি এর সূষ্ঠু বিচার চাই। গতবার সে আমার টয়লেট ভেঙ্গে ফেলে, এ পর্যন্ত তিনজন চাচাকে সে মেরেছে।
অভিযুক্ত হানিফকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, আমি র্যাবের এসআই, আমার জমিনে আমি ঘর নির্মান করেছি, কেউ আমাকে ঠেকাতে পারবেনা। রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া বলেন, গঠনাটি আমরা জেনেছি, তাৎক্ষনিক আমি ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছি, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ পেয়েছি। অপরাধীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply