নূরুল হক, মণিরামপুর প্রতিনিধি:-
মণিরামপুর পৌরসভার ৩নং-(মণিরামপুর) সদর ওয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় এক’শ ছেলে-মেয়েদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডির) জন্য ছবি তোলা হয়েছে। জীবনে প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নামটি অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বেশ আনন্দ উল্লাস করেন। আর তাদের এই আনন্দ উল্লাস স্মরনীয় করতে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরী প্রত্যেক ছেলে-মেয়েদের কলম ও শুভেচ্ছা কার্ড দিয়ে স্বগতম জানান।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারির পূর্বে যাদের জন্ম তারিখ-শুধুমাত্র তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার জন্য কার্যক্রম চলমাণ। এরই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠকর্মী ও সুপারভাইজারগন বাড়ি বাড়ি গিয়ে উল্লেখিত বয়সের ছেলে-মেয়েদের জীবনবৃত্তান্ত(ফরম পূরন) সংগ্রহ করেন। দ্বিতীয় ধাপে এসব প্রার্থীদের ছবি তোলা শুরু হয়েছে। শুক্রবার ছিল মণিরামপুর পৌরসভার ৩ ও ৪নং ওয়ার্ডের প্রার্থীদের ছবি তোলার দিন। এর মধ্যে ৩নং ওয়ার্ডের ৯৫ জনকে ছবি তোলা কাজ সম্পন্ন হয়। পৌরশহরের প্রভাতী বিদ্যাপিঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে।
সরেজমিন গিয়ে দেখাযায়, ছবি তুলতে আসা প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশরা বিভিন্ন পর্যায়ের ছেলে-মেয়ে। দীর্ঘ লাইন দিয়ে তারা ছবি তোলে। জীবনে প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য ছবি তুলতে আসা ছেলে-মেয়েরা বেশ উল্লসিত। আর তাদের এই আনন্দ উল্লাস স্মরনীয় করতে দেখা যায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরী ছবি তোলার প্রাক্কালে প্রত্যেকের হাতে শুভেচ্ছা কার্ড ও কলম দিয়ে স্বাগতম জানান। সামান্য হলেও এ উপহার পেয়ে তারা আরো উল্লসিত হয়। এ সময় কথা হয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী প্রমা রায়ের সাথে। তিনি বলেন, জীবনে প্রথম জাতীয় পত্রের জন্য ছবি তুলতে পারায় বেশ আনন্দ লাগছে। একাদশ শ্রেণীর ছাত্র বন্ধন চৌধুরী বলেন, এনআইডির জন্য একে তো ছবি তোলা, তার ওপর উপহার সামগ্রি পেয়ে বেশ আনন্দ উপভোগ করছি। এ ধরনের প্রতিক্রিয়া শুধু প্রমা রায় অথবা বন্ধনের নয়। আনন্দ প্রকাশ করেছেন ছবি তুলতে আসা অধিকাংশরা।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরী জানান, ছবি তুলতে আসা ছেলে-মেয়েদের আনন্দ উল্লাস স্মরনীয় করতে আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র।
Leave a Reply