আকরাম আলী ডাকুয়া; নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি;-
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় পরনারী আসক্ত পাষন্ড স্বামীর নির্যাতনে দুই সন্তানের জননী স্কুল শিক্ষিকা হাসপাতাল বেডে কাতরাচ্ছে। জানা গেছে উপজেলার ৫নং শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের গিলাতলা গ্রামের মৃত: সুরেশ চন্দ্র ঢালী এর একমাত্র কন্যা বর্ণালী ঢালী (৩৩) ১৬১ নং উত্তর গিলাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। ১৬ বছর পূর্বে একই গ্রামের রামকৃষ্ণ সিকদারের পুত্র মাটিভাংঙ্গা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক প্রশান্ত প্রকাশ সিকদার (৪৫) এর সঙ্গে হিন্দু ধর্মীয় বিধান মতে সামাজিক ভাবে ঐ বর্ণালী ঢালীর বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর সংসার জীবনে দুইটি সন্তান জন্ম গ্রহন করেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যপক ফাটলের অভিযোগ পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী বর্ণালী ঢালী এ প্রতিনিধিকে জানান, পরনারী আসক্ত পাষন্ড স্বামী ঘরের গৃহ পরিচারিকা সহ নিজের শিক্ষার্থীর সঙ্গে অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়ে মোটা অংকের অর্থ জরিমানা দিয়েছে। এর তীব্র প্রতিবাদ ও জরিমানার টাকা নিজের কষ্টে উপার্জিত অর্থ দিয়ে স্বামীকে রক্ষা কলেও ঐ দেওয়া টাকা নিয়ে উভয়ে মধ্যে প্রতিনিয়ত তুমুল বাক-বিতন্ডের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায় গত ইং ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় ঐ ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষিকার পিতার বাড়ীতে অবস্থান কালে পাষন্ড স্বামীর সাথে কথা কাটাকাটির এ পর্যায়ে বেধরক ভাবে মারপিট করে রাক্তাক্ত করে। এ ঘটনায় ঐ বাড়ীর লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় বর্ণালী ঢালীকে পাষন্ড স্বামীর হাত থেকে রক্ষা করে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ব্যপারে ভুক্তভোগীর মা পুষ্প রানী ঢালী (৫৫) এ প্রতিনিধিকে জানান, আমার দুনিয়ায় এই মেয়ে ছাড়া আর কিছুই নেই। স্বামী নেই, নেই একটা পুত্র সন্তান, আমাকে দুর্বল পেয়ে আমার মেয়ের প্রতি এই নির্যাতনের ষ্টীম রোলার চালাচ্ছে, এ ঘটনার পূর্বেও একাধিকবার মেরে রক্তাক্ত করে হাসপাতালে পাঠায়। আমি দূর্বল, আমার জনবল নাই, তাই আমি সমাজের কাছে বিচার দিলেও বিচার পাই না। তাই আমি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। এ ব্যপারে থানায় অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী জানায়।
Leave a Reply