আকরাম আলী ডাকুয়া: নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি;-

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাজিরপুর পুলিশের বিশেষ গায়েবী অভিযানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ী বাড়ী হানা দিয়ে ৮ ডিসেম্বর উপজেলার সাতকাছিমা গ্রামে সাধারণ পাবলিক মুক্তা শেখ (৪০), ছাত্রনেতা সুমন মোল্লা (৩৫), মিল শ্রমিক আলামিন শেখ (৩৫), যুবদল নেতা নাজমুল শিকদার (৩০)। শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের কালীবাড়ীর বিএনপি নেতা সিমেন্ট ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম টুকু (৪৫), ভ্যান চালক ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম (৬০) সহ মোট ৯জনকে পুলিশ গভীর রাতে আটক করে থানায় নিয়ে এসে ৮ই সেপ্টেম্বরের ঘটনায় আওয়ামীলীগের সাজানো নাশকতার মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন। একই মামলায় এজাহার নামীয় আসামী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ফরাজী (৪৫), ১নং মাটিভাংগা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরদার সাফায়েত হোসেন শাহীন (৫০), সাতকাছিমা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ লিয়াকত হোসেন রিপন ডাকুয়া (৫০), সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের আহŸায়ক মাজেদুল কবির রাসেল (২৮) মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়ার পরে নি¤œ আদালতে হাজির হইলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল-হাজতে প্রেরণ করেন। একই মামলায় সর্বমোট ১২জন দীর্ঘদিন জেল-হাজতে থাকার পরেও গত ১৫ই ডিসেম্বর নির্ধারিত তারিখ ও ১৯ ডিসেম্বর বিজ্ঞ কোর্টে জামিনের আবেদন করেন এ্যাড: আবুল কালাম আকন, এ্যাড: শামীম, এ্যাড: আকরাম মোল্লা, এ্যাড: হাসি আক্তার, এ্যাড: রেজাই রাব্বি ছানি। বিজ্ঞ সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল আমলী আদালত-৩ এ জামিন আবেদন করলে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পুনরায় কারাগরে প্রেরণ করেন। ঐ সকল কারাবন্দী নেতাদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা এম আনোয়ারুল ইসলাম পলাশ ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিটন সহ উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মী পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং শান্তনা প্রদান করেন। জেলা বিএনপির সদস্য সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা এম আনোয়ারুল ইসলাম পলাশ এ প্রতিনিধিকে আরো জানান, বর্তমান আওয়ামীলীগ পাক হায়নাদের র্বরতাকেও হার মানিয়েছে বিএনপিকে দমন, পিরন, মামলা, হামলা দিয়ে। আজ কারাবন্দী অনেক নেতাদের পরিবার অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। আওয়ামীলীগ বিএনপির উপরে এ দমন-পীরন, হামলা-মামলা করে বিএনপিকে দাবিয়ে রাখতে পারবেনা।