মঠবাড়িয়া(পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর যুবতী তন্বী আক্তার (২৪) কে জবাই করে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত সাকিবকে এক দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার এসআই আব্দুল কুদ্দুস সোমবার ছগীর (৪২) ও সাকিব (২৫) কে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল আজাদ শুনানী শেষে সাকিবকে ১ দিন ও ছগীরের ২দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ছগীর উপজেলার উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত. কুদ্দুস আকনের ছেলে ও সাকিব একই এলাকার সালমা বেগমের ছেলে। ছগীর আকন সাংবাদিক কন্যা ঊর্মি হত্যা মামলার একমাত্র চার্জসীটভুক্ত আসামি। ২০১৭ সালের ২১-২৩ জুলাইয়ের কোন এক সময় ঊর্মি (১০) কে নৃশংসভাবে হত্যা করে একই এলাকার পরিত্যাক্ত্য বাগানের নালায় লাশ ফেলে রাখে। ২৩ জুলাই থানা পুলিশ নিহত ঊর্মির অর্ধ গলিত ভাসমান লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল ২৩ জুলাই মঠবাড়িয়া থানায় অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা করেন।
নিহত তন্বীর লাশ উদ্ধারের ১০ দিন পরে গত ১ জানুয়ারী ছগীর, সাকিব ও একই এলাকার সাইয়েদ আকনের ছেলে ওমরসানী (২৮) কে আটক করে পুলিশ। ওমরসানীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়। ছগীর, সাকিব গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২ জানুয়ারি সোমবার আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সাকিবকে ১ দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। সাকিবের কাছ থেখে উল্লেখ যোগ্য কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ছগীর এখনও ১ দিনের রিমান্ডে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
উল্লেখ্য- গত ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে তন্বী আক্তারের গলাকাটা লাশ উপজেলার উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের মান্নান আকনের (বুইর্যার বাড়ি) বাগান থেকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ। এঘটনায় নিহতের বাবা আঃ রাজ্জাক আকন (৭২) ২৩ ডিসেম্বর শুক্রবার মঠবাড়িয়া থানায় অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় পিরোজপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মোহাম্মদ ইব্রাহীম সহ থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, পিবিআই, র্যাব, সিআইডি পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। ২১ ডিসেম্বর বুধবার বিকেল থেকে তন্বী আক্তার নিখোঁজ ছিলো।
Leave a Reply