আকরাম আলী ডাকুয়া: নাজিরপুর (পিরোজপুর) উপজেলা প্রতিনিধি
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাংগা কলেজ মোড়ে সৎ মায়ের হাতে ৮ বছরের শিশু কন্যা আরিফা খুন। জানা গেছে উপজেলার ৫নং শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের শেষ সীমানা ও ১নং মাটিভাংগা ইউনিয়নের শেষ সীমানা মাটিভাংঘা ডিগ্রি কলেজ মোড়ে সমশের শেখ এর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশু কন্যার দাদী মাহিনুর বেগম (৫০) জানান, গতকাল ৫ জানুয়ারি আমার নাতি স্কুল থেকে বাড়ী আসার পরে আমার কাছে থাকে। বিকার অনুমান ৫টার দিকে সৎ মা আয়শা (২২) রাগান্বিতভাবে আমার কাছ থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে আমি কোন সংবাদ না পেয়ে খোঁজ-খবর নিলে আয়শা আমাকে জানায় আমার বাড়ী থেকে কোথায় গেছে জানিনা। ইতিমধ্যে ছেলে অবুবকর মৃতের পিতা এর সঙ্গে দেখা হলে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সেও সংবাদ জানেনা। আরিফাকে না পেয়ে চারিদিকে খোঁজা-খুজি শুরু করলে বাড়ীর পিছনে খালের পাড়ে আরিফার মৃত্যুদেহ পাওয়া যায়। এ সংবাদ শুনে মাটিভাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মরত এস আই দেলোয়ার ও এস আই আতিয়ার দ্রæত ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং রাত আনুমানিক ৮টার দিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ও খুনী সৎ মা আয়শা ও তার স্বামী আবুবকরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ব্যপারে মৃত্যের দাদী এ প্রতিনিধিকে আরো জানান মৃত্যের মাকে ৪ বছর পূর্বে আবুবকর ছেড়ে দিয়ে পরকীয়া প্রেমিকা আয়শাকে বিবাহ করে। ঘটনার দিন আয়শার নিজের দের মাসের শিশু সন্তান কান্নাকাটি করায় ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে আমার কাছ থেকে ডেকে নিয়ে কম্বল চাঁপা দিয়ে শ^াস রোধ করে হত্যা করে লাশ লুকানোর চেষ্টা করে। ঘটান শুনে আরিফার গর্ভধারীনি মা কুলসুম বেগম (২৮) ছুটে এসে মেয়ের লাশ দেখে আহাজারি করেন। এক পর্যায়ে ধৃত আসামী আয়শা হত্যার ঘটনাটি নিজ মুখে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়। এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ ইয়াসিন আলী সংবাদ পেয়ে নাজিরপুর থানায় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানন, এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে, অপর দিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যদি আরো কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply