মঠবাড়িয়া(পিরোজপুর) প্রতিনিধি:- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার আ.লীগ অফিস ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফেরণ ঘটানোর অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় উপজেলা ও পৌর বিএনপির ১৮ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে নেতাকর্মীরা পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিন দুলাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারে পাঠানো নেতা-কর্মিরা হলেন- পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির মল্লিক, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তাহসিন জামান রুমেল, যুগ্ম আহবায়ক রিপন মুন্সী, আবু হানিফ হাওলাদার, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আবু মাস্টার, যুবদল নেতা শাহীন রোজা, মাইনুল ইসলাম, ওয়ালিদ লস্কর, রিয়াজুল হক, আবুল বাশার রিয়াজ, বেল্লাল খান, সজিব, রাসেল জমাদ্দার, শাহীন খান, চাঁন রাদশা, রুম্মান, হাবিব বেপারী, মনির হোসেন।
জানা গেছে, আ.লীগ অফিস ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফেরণ ঘটানোর অভিযোগে উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. আবুল কালাম মোল্লা বাদী হয়ে গত ৫ ডিসেম্বর‘২২ রোববার রাতে পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি কে,এম হুমায়ূন কবিরসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১০২ জনকে নামীয় এবং ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্যনিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর‘২২ শনিবার দিনগত গভীর রাতে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখা শেষ করে আবুল কালাম মোল্লা ও অন্যান্য দলীয় নেতা-কর্মিরা বাসায় যাওয়ার পথে বিএনপি ও তাঁর সহযোগি সংগঠনের দেড় শতাধিক নেতা-কর্মি লোহার রড, লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রসহ নিয়ে পৌরশহরের ব্যাংকপাড়াস্থ আ.লীগ অফিসের সম্মুখে এসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে যুবলীগ অফিসের টিনের বেড়া ও আ’লীগ অফিসের জানালার গ্লাসে ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরে আসামিরা আ.লীগ নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে অফিসে ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। এ মামলায় আসামীর উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিন দুলাল বলেন, মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপির নেতা কর্মিদের অহেতুক হয়রানী করা হচ্ছে। এ মামলা দিয়ে মঠবাড়িয়া বিএনপিকে দুর্বল করা যাবেনা বরং আরো শক্তিশালী হবে।
পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত এর পিপি এডভোটেক মোঃ আলাউদ্দিন খান বলেন, উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে কিছু আসামী নিম্ন আদালতে জামিনের প্রার্থণা করেন। বিজ্ঞ বিচারক শুণানী শেষে ১৮ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
Leave a Reply