মণিরামপুর প্রতিনিধি:
মণিরামপুরে অনৈতিক কাজের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে রাস্তা থেকে চাচাত ভাইবোনকে ধরে এনে বøাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। এ ঘটনায় পৌর এলাকার ৩ যুবকের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকেক আসামী করে মণিরামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগি। থানা পুলিশ তদন্ত শেষে মামলাটি রুজু করেছে।
মামলার বিবরনে জানাযায়, উপজেলার গোপালপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদ এর পুত্র আবু তাহের একজন মুদি ব্যবসায়ী। গোপালপুর বাজারে তার একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আছে। গত ৪ ফেব্রæয়ারী দুপুরে দোকানের মালামাল ক্রয়ের জন্য মণিরামপুর পৌরশহরে আসে। মালামাল ক্রয় শেষে বাড়ী ফেরার পথে মণিরামপুর পৌরশহরেরর দোলখোলা মোড়ে তার প্রতিবেশি চাচাত বোনের সাথে দেখা হয়। তার সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথার্বতা হচ্ছিল। এমতাবস্থায় পৌর এলাকার অসীম ঘোষ (৩৫), স্বপ্নীল ঘোষ ওরুপে সোনা (৩৮) ও দিলসাদ (৩৬)সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন অজ্ঞত যুবক কৌশলে আবু তাহের ও তার চাচাত বোনকে দোলখোলা রোডের একটি বাড়ীতে আটকিয়ে রেখে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আপত্তিকর ছবি তোলার চেষ্টা করে। আবু তাহের ছবি তুলতে অস্বীকৃতি জানালে খুন করার হুমকি প্রদানসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে জোর করে ওই যুবকরা তারা ছবি তুলতে সক্ষম হয়। এরপর ছবি ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেবার ভয় দেখিয়ে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। আবু তাহের টাকা দিতে না চাইলে তাকে ও তার চাচাত বোনকে বেদম প্রহর করা হয়। এক পর্যায়ে আবু তাহের বাধ্য হয়ে তার বন্ধু বাহিরঘরিয়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মোঃ রিংকুর কাছে থাকা ১৫ হাজার টাকা আসামীদের ০১৭১৬৭১৪৩৫৩ মোবাইল নম্বারে বিকাশ করে। কিন্তু আসামীরা আরও ৮৫ হাজার টাকা দাবী করে আবু তাহেরকে বেদম প্রহর করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার চাচাত বোন পুলিশকে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আবু তাহের বাদী হয়ে পৌর এলাকায় ঘোষপাড়ার মৃত শিবুপদ ঘোষের পুত্র অসীম ঘোষ (৩৫), মৃত সুভাষ ঘোষের পুত্র স্বপ্নীল ঘোষ ওরুপে সোনা (৩৮) ও মুরগীহাটা এলাকার ছবেদ আলীর দিলসাদ (৩৬) সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে মণিরামপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শেষে বাদীর দেয়া ৩জন ও সম্পৃক্তার অভিযোগে একই এলাকার সুভাস ঘোসের ছেলে শিশির কুমার মিঠু (৪২) এবং অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী মামলা করে।
এ বিষয়ে অসীম ঘোষ জানান, আমি আদৌ এর সাথে জড়িত নয়। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার নাম মামলায় যুক্ত করা হয়েছে।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামান জানান, এজাহারের ভিত্তিতে তদন্ত করে মামলা রুজু করা হয়েছে। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Leave a Reply