নূরুল হক, মণিরামপুর প্রতিনিধি:
‘আজ ১৭ মার্চ এইদিনে স্বাধীনতার মহান স্থাপতি জাতিরজনত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আজ তাঁর ১০৩ জন্মবার্ষিকী। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশের জন্ম হতো না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে যে ছোট করতে চাইবে সেই-ই ছোট হবে। শুধু বাঙ্গালী জাতি-ই নয় বিশ্ববাসীর হৃদয়ের মনিকোঠায় তিনি স্থান পেয়েছেন। আজীবন তিনি এদেশের অসহায় গরীব-দু:খী মানুষের মুক্তির ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। আর মৃত্যুর আগ মূহুর্ত পর্যন্ত তিনি এদেশের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। পাকিস্থানী শাসক-শোষক গোষ্ঠীর পরাধীনতার শৃংখল থেকে এদেশর মানুষের মুক্তির সংগ্রাম করতে গিয়ে জীবন-যৌবনের অধিকাংশ সময় জেল-জুলুম ও আর অন্ধকার কারাগরে কেটেছেন তার।’ বৃহষ্পতিবার বিকেলে মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে নির্মাণাধীন দলীয় কার্যালয়ের সামনে ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বিশাল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভট্টাচার্য্য (এমপি)।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আলহাজ্জ্ব কাজী মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্যে দিয়ে এদেশের ইতিহাস থেকে তার নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন, তারা নিজেরাই আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। জনগণের কাছে তাদের গ্রহণ যোগ্যতা নেই। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে এদেশের কৃষক, শ্রমিক নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষসহ আমজনতা স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু তার জীবদ্দশায় এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বের বুকে বাঙ্গালী জাতি মাথা উঁচু করে বেচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। আর আজ তার পূর্ণতা দিচ্ছেন তারই উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ রত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। ইতোমধ্যে দেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ একটি উন্নত ও স্মার্ট রাষ্ট্রের সফলতা পাবে। বাংলাদেশকে এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেব বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গ্রহন করছে। গ্রামকে শহরের সুবিধা দিতে ইতোমধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা নানা বাস্তবমূখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। সুতরাং দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মুরাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য গৌতম চক্রবর্তী, তরুণ আওয়ামীলীগনেতা অ্যাড. বশির আহম্মেদ খান, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও মহিল ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দীন, আওয়ামীলীগনেতা কৃষিবিদ মোজাম্মেল হোসেন মেল, গাজী মুহাম্মদ, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন, সাধারণ সনম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, আওয়ামীলীনেতা সূপ্রিয় ভট্টচার্য্য শুভ, ইঞ্জি. কাজী মাহমুদ পারভেজ শুভ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম রিপন, যুবলীগনেতা লুৎফর রহমান, রবিউল ইসলাম রবি, পৌর কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ, আব্দুল কুদ্দুস, আজিম হোসেন, সুমন দাস, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ, শ্রমিকনেতা জয়নাল পাটোয়ারী প্রমূখ।
এদিকে এদিন সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু মুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ আলী হাসান, পৌর মেয়র আলহাজ্জ্ব অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামান
Leave a Reply