আকরাম আলী ডাকুয়া; নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলাধীন ৬নং সদর ইউনিয়নাধীন কুমারখালী গ্রামে আবারও কোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভ‚মি দখলদার বাহীনির তান্ডব আহত-৭। জানা গেছে কুমারখালী গ্রামে ভ‚মি দখলদার বাহীনির প্রধান নিকারী মনির হোসেন মোল্লা, হাফিজুল মোল্লা ও এজাজুল মোল্লা গত ১৪ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় অর্ধশত বছরের ভোগ দখলীয় বাগান ভিটা বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বসস্ত্র সন্ত্রাসী বাহীনি ভাড়া করে এনে নিষেধাজ্ঞা মামরার বাদী এম মাহাবুবুল আলম কুদ্দুস এর বাগান বাড়ীতে ঘর উত্তোলন করে। এ সময় ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারি কর্মকর্তা শাহাজাহান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে পৌছে ভ‚মি দখলদার বাহীনিদের কোর্টের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার নির্দেশ দেন এবং শান্তি-সৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করিয়া চলিয়া যান। এ সময় ভ‚মি দখলদার বাহীনির প্রধান নিকারী মনির মোল্লা, হাফিজুল মোল্লা ও তাহাদের ভাড়াটিয়া লোকজন স্বসস্ত্রে সজ্জিত হইয়া এম মাহাবুবুল আলম মোল্লার ছোট বোন প্রিয়া বেগমকে রাস্তার উপরে একা পেয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পিয়া বেগম এর সঙ্গে থাকা স্বর্ণের গহনা পাতি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পিয়া বেগমের ডাক-চিৎকারে তার বড় বোন সহ তাদের পরিবারের লোকজন পিয়া বেগমকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে ঐ ভ‚মি দখলদার বাহীনির প্রধান এবং ভাড়াটিয়া বাহীনি তাহাদের উপর বে-পরোয়া হামলা শুরু করে। এ সময় পিয়া বেগমের ভাই মেহেদী হাসান এরশাদ বোনকে রক্ষা করতে গেলে দখলদার বাহীনির প্রধান দেশি বাংলা দা দিয়ে কুপিয়ে মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। এ ঘটনায় ভ‚মি দখলদার বাহীনির হাতে প্রিয়া বেগম, ও তার বড় বোন শাহানাজ পারভীন (সংবাদকর্মী আকরাম ডাকুয়ার স্ত্রী), ও তার ভাই মেহেদী হাসান এবং সাথী আক্তার (সংবাদকর্মী আকরাম ডাকুয়ার কন্যা) সহ মোট ৪ জনকে আহত করে। স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে নাজিরপুর হাসপাতালে এনে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদী হাসানের অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এ ব্যপারে এম মাহাবুবুল আলম মোল্লা এ প্রনিধিকে জানান ভ‚মি দখলদার বাহীনি যে জায়গা দখল করছে ঐ জায়গায় মহামান্য হাইকোর্টের দেং মং নং ২৩৮/৯০ নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে নিন্ম পিরোজপুর বিজ্ঞ জজ আদালতকে মামলা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত মামলা পিরোজপুর আদালতে ৬/২২ নং দেওয়নাী মামলায় রুপান্তরিত হয়। ঐ মামলায় সরকার বনাম এম মাহাবুবুল আলম মোল্লার পিতা- মৃত: সুলতান মোল্লা বাদী হয়ে মামলাটি পরিচালনা করেন। উক্ত মামলায় ডেপুটি কমিশনার সহ উপজেলা সহকারি কমিশার (ভ‚মি) ও ৯-২০ নং ভ‚মিহীনদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখেন। তবুও ভ‚মি দখলদার বাহীনিরা অদৃশ্য শক্তির দাপটে অর্ধশত বছরের শান্তিপ্রিয় ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে একাধিকবার দখলের চেষ্টা করে এবং শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে বিদ্যমান এম মাহাবুবুল আলম মোল্লাদের উপর হামলা করে। ভ‚মি দখলদার বাহীনিরা ইতিপূর্বে ভ‚মি দখলের নামে তান্ডব চালানোর খবর পত্রিকায় প্রকাশ করা হলে সন্ত্রাসী বাহীনিরা নাজিরপুর প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদকর্মী আকরাম আলী ডাকুয়ার স্ত্রী ও সন্তানের উপর হামলা করে প্রতিশোধ নেয়। স্থানীয় একাধিক সূত্রমতে জানা যায় যে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভ‚মি দখলদার বাহীনির সদস্যরা নিজেরা নিজেদেরকে আহত করে এবং ব্রেন ষ্ট্রোকের রোগী সহ মোট ৪ জনকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির পায়তারা করিতেছে। এলাকা এখন ঐ ভ‚মি দখলদার বাহীনির আতঙ্কে আতঙ্কিত। বিষয়টি নাজিরপুর থানা-পুলিশকে মৌখিক ভাবে জানাইলে তাহারা ঘটনাস্থল পরির্শন করেন এবং অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশ^স্থ করেন
Leave a Reply