স্টাফ রিপোর্টার :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মসজিদের নাম অংকিত নেইম প্লেট সরিয়ে অন্য নামের নেইম প্লেট টানিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় মসজিদের পুরানো হিসাবের খাতা ছিড়ে ফেলানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উপজেলার ৫নং মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামে ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামে মরহুম হাজী আঃ গফুর ফরাজী মসজিদের নামে একই এলাকার বাসিন্দা মৃত আঃ গফুর ফরাজীর পুত্র মমিন উদ্দিন ফরাজী, মৃত অহেদ আলী খলিফার পুত্র জবেদ আলী খলিফা ও নুরুল হক ফরাজীর পুত্র আবুল কালাম ফরাজী এই তিন জনে সর্বমোট ৫ শতাংশ জমি ৩১/১০/২০২১ ইং তারিখ দান করেন এবং মসজিদের দলিলে উল্লেখিত নামে একটি নেইম প্লেট ব্যবহার করে আসছে। সেই থেকে উক্ত মসজিদ দাতাগনের ওয়ারিশরা মসজিদটি পরিচালনা করে আসছে। হঠাৎ বিগত ৭/৮ দিন পূর্বে জমিদাতা অহেদ আলী খলিফার ওয়ারিশ এবং চলমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ/ক্যাশিয়ার মোস্তফা কামাল তার একক সিদ্ধান্তে মসজিদের নাম অংকিত নেইম প্লেটটি সরিয়ে ফেলে এবং মসজিদের দীর্ঘদিনের হিসাবের খাতা ছিড়ে ফেলে।
এদিকে মোস্তফা কামাল তার একক সিদ্ধান্তে মদিনা মসজিদ নামে অন্য একটি নেইম প্লেট টানিয়ে দেয়। এ নিয়ে মুসুল্লিদের মধ্যে আলোচনা/সমালোচনার ঝড় বইছে। মোস্তফা কামাল দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জবেদ আলী খলিফার ছেলে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে কিছু মুসুল্লি মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকে ডেকে বর্তমান মদিনা মসজিদ নামের নেইম প্লেটটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন এবং সকল মুসুল্লিদের ডেকে মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমামের কাছে পরামর্শ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
বিষয়টি সম্পর্কে দক্ষিণ মিঠাখালী মরহুম আঃ গফুর ফরাজী মসজিদের ইমাম মাওঃ আঃ হালিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এটা সত্য।
এদিকে অভিযুক্ত মোস্তফা কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মসজিদের রং করার জন্য নেইম প্লেটটি সরিয়ে ফেলেছিলাম। নাম পরিবর্তনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি মসজিদের মুসুল্লিদের সাথে কথা বলে এহেন কাজটি করেছিলাম পরে যখন উপজেলা চেয়ারম্যান সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন আমি সাথে সাথে সরিয়ে ফেলেছি। এখন মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমি সেই সিদ্ধান্তে একমত।
Leave a Reply