1. admin@danikagonikontho.com : admin :
রবিবার, ১১ জুন ২০২৩, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভিশন ৪১ বাস্তবায়নে আবারও নৌকায় ভোট দিন – প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য কয়রায় কমিউনিটি ইন্টারজেনারেশনাল ডায়লগ অনুষ্ঠিত পতেঙ্গা গোল্ডেন বিচ এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পান দোকানী নিহত অভয়নগরে শুভনাড়া ইউনিয়নে তরুন লীগ’র কর্মী সভা অনুষ্ঠিত কোন ঘুষ দূর্নীতি করিনি,আমি নীতিতে অটল, – মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রী মণিরামপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু মৌ মধুবন্তীর একগুচ্ছ গান স্মার্ট বাংলাদেশের সাথে জ্ঞানে ও প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীরাও স্মার্ট হবে,- প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য শেরপুর নালিতাবাড়ীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় নকলায় জতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদ্বোধন

শেরপুর শ্রীবরদী ভেলুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৩৪ বার পঠিত

রাকিবুল আওয়াল পাপুল শেরপুর জেলা প্রতিনিধি :
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজির প্রতিনিধি ও মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের উপস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তাদের অনুপস্থিতিতেই নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ আলী লাল নিজে, একজন অভিভাবক সদস্য ও নিয়োগকালীন সময়ের জন্য নিয়োগকৃত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিজেদের ইচ্ছামতো প্রার্থীকে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করে। এবং ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। নিয়োগ নিয়ে আদালতে একটি মামলাও চলমান রয়েছে।
অথচ জেলা শিক্ষা অফিসার ডিজি প্রতিনিধি নিয়োগের চিঠিতে নিয়োগের বিষয়ে আদালতে মামলা থাকলে নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। এ নির্দেশনার চিঠি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকেও প্রদান করেন। কিন্তু এ নির্দেশনা উপেক্ষা করেই গত ৩০ মার্চ নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে ভেলুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল হক ২০১৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর থেকেই ওই বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুর রহিমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই ওই বিদ্যালয়ে নানা জটিলতা লেগেই আছে। এদিকে তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য নানা অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করেন। তিনি নিয়োগ পাওয়ার জন্য নিয়োগকালীন সময়ের জন্য শিরিনিা বেগম নামে একজন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে খন্ডকারীন সময়ের জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন। অথচ বিদ্যালয়ের কাগজপত্র তার কাছে বুঝিয়েই দেয়া হয়নাই। এ বিষয়ে শিরিনা বেগম মুঠোফোনে জানান, তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তবে সমস্ত কাগজপত্র বিদ্যালয়ের সভাপতির হাতেই রয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার দিন তিনি উপস্থিত থেকে শুধু স্বাক্ষর প্রদান করেছেন। এছাড়া তিনি আর কিছুই জানেননা। অভিযোগ রয়েছে নিয়োগ পরীক্ষায় সহজেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে জনাব আব্দুর রহিম তার পছন্দের শিক্ষক শিরিনা বেগমকে খন্ডকালীন সময়ের জন্য প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করেছেন। আর একজন অভিভাবক সদস্য, বিদ্যালয়ের সভাপতি, উপজেলা মাধ্যামক শিক্ষা অফিসার (মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি) ও শ্রীবরদী মথুরাদি সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে (ডিজির প্রতিনিধি) নিয়ে পাঁচ সদস্য বিশিস্ট নিয়োগ কমিটি গঠন করেন। এ বিষয়ে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে বহুল প্রচারিত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ো হয়েছে, যে পত্রিকার কপিগুলি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার দিন শেরপুর বিলি করা হয়নি। যে কারণে আগ্রহী অনেকেই আবেদনই করতে পারেননি।
সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।
নিয়োগের বিষয়ে শ্রীবরদী উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম এলাহী আখন্দ জানান, ৩০ মার্চ নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। সেদিন আমার বিশেষ কাজে বাইরে ছিলাম। আমি নিয়োগ পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলামনা। তার অনুপস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া যাবেন কি-না ? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, পরীক্ষা নেয়া যাবে। ওই পরীক্ষায় রেজাল্টসীটে স্বাক্ষর করবেন কি না ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আলোচনা চলছে। তবে আমার স্বাক্ষর ছাড়াও নিয়োগ দিতে পারবে। জেলা শিক্ষা অফিসার মামলা জনিত জটিলতা থাকলে নিয়োগ না দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে, এরপরেও নিয়োগ হয় কীভাবে ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী ২৮ তারিখেই মামলাটি শেষ হয়ে যাবে। তাহলে অগ্রিম নিয়োগ দিচ্ছেন কীভাবে ? এমন প্রশ্নের কোন সদোত্তর তিনি দিতে পারেননি।
এদিকে ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে শ্রীবরদী মথুরাদি সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকছেুদর রহমান ৩০ মার্চ তার চোখের চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ অবস্থান করেছেন। তাই তিনিও অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, আমি অনুপস্থিত ছিলাম, আমার একজন প্রতিনিধি হিসেবে একজন সহকারী শিক্ষককে পাঠিয়েছিলাম। একজন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষককে পাঠানোর কোন বিধান বা সুযোগ নেই। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মো: রেজুয়ান বলেন, মামলা জটিলতা থাকলে নিয়োগ না দেয়ার জন্য আমি চিঠিতে বলে দিয়েছি। আর একজন ডিজির প্রতিনিধি প্রধান শিক্ষক নিয়োগে কোন সহকারী শিক্ষককে প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পারেননা।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবীর তালুকদার, সাবেক সদস্য গোলাম মোস্তফা, খোকা মিয়াসহ স্থানীয়রা এ অনিয়মের নিয়োগ বাতিলের দাবীতে গতকাল এক সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। সাংবাদ সম্মেলনে তারা বিদ্যালয়ের নানা অনিয়মের কথা তুলে ধরেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© All rights reserved © 2021 Dainik Agoni Kontho
Theme Customized By Theme Park BD