কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ-অভাবের কারণে পঞ্চম শ্রেণীতে উঠেই স্কুল ছেড়েছিলেন। 13 বছর বয়সে বাধ্য হয়েছিলেন বিয়ের পিঁড়িতে বসতে।দিন মজুর স্বামীর সংসারে এসেও অভাব পিছু ছাড়ছিলনা। একবেলা খাবার জুটলেও অন্য বেলা উপোস থাকতে হতো। এরই মধ্যে স্বপ্ন দেখেন নিজে কিছু করার। এ অবস্থায় দুই হাজার চৌদ্দ সালে ছাগল পালন শুরু করেন। দেখতে দেখতে ছোট খাটো একটি খামার হয়ে যায় তাঁর।
সংগ্রামী নারীর নাম দিপালী। বাড়ি নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ গ্রামে। গত নয় বছরে পঞ্চাশটির বেশি ছাগল বিক্রি করে আয় করেছেন অন্তত তিন লাখ টাকা। শুধু নিজের ভাগ্য বদল করে থেমে থাকেননি। প্রতিবেশী ও আশ পাশের গ্রামের অভাবগ্রস্হ নারীদেরও পথ দেখিয়েছেন। সাহেবগঞ্জসহ আশপাশের গ্রামের নারীরা এখন ছাগল পালন করছেন। দিপালীর মতো তাঁদেরও বাড়িতে ছাগলের খামার। রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামার গ্রামে জন্ম দিপালী রানীর। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।2005 সালে বাবা হরেন চন্দ্র দাশ দিপালীকে বিয়ে দেন নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ গ্রামের মিলন বিশ্বাসের সাথে। বাবার বাড়ির পর স্বামীর বাড়িতে এসেও অভাব,দারিদ্র্যমেনে নিতে পারেননি দিপালী। কিছু করার স্বপ্ন থেকে শুরু করেন চা বিক্রির ব্যবসা। এতে কিছুর আয় হয়। এক বছরের লাভের টাকায় কেনে দুইটি বিদেশি জাতের ছাগল। এক বছর পর ছাগল দুটি বিক্রি করে এবং চায়ের বিক্রির জমানো টাকায় দুটি বিদেশী জাতের ছাগল কেনেন। পাশাপাশি সরকারী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন ট্রেড কোর্সে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন সেখান থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। এখন দিপালী পিছনে তাকাতে হয় না ।এখন সে নিজেই সাবালম্বী।
Leave a Reply