মণিরামপুর প্রতিনিধি:
মণিরামপুরে সরকারি রাস্তার ইট বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর এলাকাবাসীর তোপের মুখে শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই ইট ফেরত দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানায়, উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের হাসাডাঙ্গা গ্রামের প্রয়াত ডা.এমএ ওয়াহাব আলীর বাড়ির সামনে থেকে ঈদগাহ পর্যন্ত ইটের সোলিংয়ের রাস্তা সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়। চলতি অর্থ বছরে কাবিখা (কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচি) প্রকল্পের আওতায় রাস্তা সংস্কারের জন্য ২০ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা ইকরামুল হোসেন জানান, গতমাসে কাজ শুরু করে ষ্কেভেটর মেশিন দিয়ে রাস্তার পুরাতন ইট তুলে পাশে রাখা হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে গত বুধবার স্থানীয় একটি চক্র প্রায় আড়াই হাজার ইট নিয়ে পার্শ্ববর্তি শাহিনুর রহমান নামে এক মাংস বিক্রেতার কাছে ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শের আলী জানান, এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামের মসজিদের কাছে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের ছোটভাই জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এ সময় দুপক্ষের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এতে যুবলীগ নেতা শেরআলী, ছাত্রলীগ কর্মী রনি, জুয়েল, বাপ্পি, আবিদসহ অন্তত: আটজন আহত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। প্রকল্পের সভাপতি ইকরামুল হোসেন জানান, এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করার পর শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ওই ইটসমুহ ফেরত দেন রনি, আবিদসহ সংশ্লিষ্টরা। শ্যামকুড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জানান, এলাকাবাসীর তোপের মুখে তারা সরকারি ইট ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান, ইট বিক্রি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দুপক্ষকে নিয়ে রোববার বৈঠক ডাকা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে বিষয়টির মিমাংশা হবে। তবে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে এ ব্যাপারে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।
Leave a Reply