মঠবাড়িয়া(পিরোজপুর) প্রতিনিধি : পঙ্কজ মিত্র
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার, ৪নং দাউদখালী ইউনিয়নে পশ্চিম দাউদখালী নুরজাহান মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১২০নং পশ্চিম দাউদখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে পর্যটন কেন্দ্রে মুজিব কেল্লা নির্মাণের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
১১ই সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় এই মুজিব কেল্লার শুভ উদ্বোধন করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন নুরজাহান মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেন, ১২০নং পশ্চিম দাউদখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, কাজল চন্দ্র দাস, সারিকা ট্রেডার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে, সহকারী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রায়হান,১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ সুলতান আহমেদ গাজী, ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, মিয়াজি শামীম আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের, ৪নং দাউদখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড শাখার, সাধারণ সম্পাদক, মোঃ এমাদুল হক মুন্সি, সমাজসেবক মাহবুব মিয়াজি,সাংবাদিক রিয়াজুল ইসলাম সজীব প্রমুখ, সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায় ১.৭৭ একর জমির উপরে মুজিব কেল্লাটি নির্মাণ করা হবে, নির্মাণে ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবার কথা রয়েছে।সারিকা ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজটি সম্পন্ন করবেন বলে জানা গেছে।
ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে রক্ষা করতে দেশে মুজিব কেল্লা নির্মাণ ও সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে উপকূল অঞ্চলের দুর্ভোগ জনগণ ও প্রাণিসম্পদকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমিয়ে আনা যাবে। এছাড়া বছরের অন্য সময় জনসাধারণের খেলার মাঠ, সামাজিক অনুষ্ঠান ও হাটবাজার হিসেবেও এসব স্থান ব্যবহার করা যাবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে মানুষের জানমাল রক্ষায় মাটির উঁচু ঢিবি তৈরি করা হয়। সে সময় এগুলো মুজিব কেল্লা নামে পরিচিতি পায়। পরবর্তী সময়ে এসব মুজিব কেল্লা আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয় শেখ হাসিনা সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় দেশজুড়ে বিদ্যমান মুজিব কেল্লাগুলো সংস্কার ও নতুন কেল্লা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। মুজিব কেল্লা মূলত মাটির উঁচু ঢিবি। বিশাল এলাকায় মাটি ও বালু ফেলে এ কেল্লা নির্মাণ করা হয়। এরপর এর চারপাশে নদীর পাড় বাঁধানোর মতো করে সিমেন্টের ব্লক দিয়ে বাঁধাই করা হয়। কয়েক হাজার বর্গমিটার আয়তনের এসব ঢিবির ওপর তৈরি করা হচ্ছে আধুনিক আশ্রয়কেন্দ্র। যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় স্থানীয় মানুষ এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারেন। পাশাপাশি থাকছে গবাদি পশু রাখার জন্য আলাদা স্থানও। এমনভাবে এসব কেল্লা নির্মাণ ও সংস্কার করা হচ্ছে যেন, অন্যান্য স্বাভাবিক সময়ে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্রের সামনের খোলা অংশকে খেলার মাঠ বা হাটবাজার হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।
Leave a Reply